ড. হাছান মাহমুদ যিনি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা যাবে কিন্তু বিশেষ কিছু শর্ত সাপেক্ষে। যেসব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন নেই শুধুমাত্র সেই সকল বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা যাবে, সেক্ষেত্রে কোনো বিধিনি’ষেধ নেই। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, বিদেশী চ্যানেলগুলি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন ব্যাতীত ফিড পাঠাবে। সেক্ষেত্রে সম্প্রচার করতে কোনো ধরনের বা’ধা নেই।
শনিবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রামের শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রবাসী কমিউনিটির সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখা শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনার আয়োজন করে।
গতকাল থেকে দেশে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে সৃষ্ট সং’ক’ট নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এজেন্ট ও ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কিছু কারিগরি ত্রু’টি আছে। এজন্য সম্প্রচার করতে পারছে না। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেসব বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপন ছাড়া সম্প্রচার হয়, সেগুলোর জন্য আমাদের আইন কোনো সমস্যা করেনি। কেউ কেউ জনগণকে ক্ষু’/ব্ধ করতে সম্প্রচার বন্ধ করে রাখতে পারে। এছাড়া কোনো কোনো চ্যানেল সম্প্রচারে সমস্যা আছে। আশা করি দ্রুত সেসব সমস্যা কে’/টে যাবে।
তিনি বলেন, যেকোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার হতে পারে, তবে বাংলাদেশের আইন মেনে। ইউরোপ-আমেরিকাও এ আইন আছে। পাশের দেশ ভারতেও সেই আইন মেনে বিদেশি চ্যানেলকে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশি অনেক চ্যানেল আমাদের দেশের প্রনীত আইনের প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর মাধ্যমে এতদিন ধরে বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছিল। এর ফলে দেশ দুই হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সেজন্য আমরা আইন মোতাবেক গতকাল হতে দেশের এই সকল চ্যানেল বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।
তিনি আরও যোগ করে বলেন যে, দেশের যে সকল টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে তাদের মালিক সমিতি এই পদক্ষেপ নেওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে।