দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট এসকল বিষয় নিয়ে সম্প্রতি সারাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা এই বিষয়গুলো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকে সরকার উৎখাতের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন। সম্প্রতি এসকল বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য আলোচনায় আসে।
তিনি বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব বেপরোয়া বাঘে পরিণত হয়েছেন। কথা দিচ্ছি আগুন না আনব। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করুন। অগ্নিসংযোগে নামতে চাইলে বলবো, জনগণের প্রতিরোধ সুনামিতে পরিণত হবে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপিকে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফ্রান্সের বিরোধী দল এই সংকটকে কেন্দ্র করে সরকার উৎখাতের প্রতিবাদ করেনি, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দলও করেনি। জার্মানিতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। এমনকি জাপানেও নয়। আমরা সহযোগিতা চেয়েছিলাম। সারা বিশ্ব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বাংলাদেশে তারা (বিএনপি) সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের মিছিল করতে দিন। তারা যখন মিছিল-মিটিং করতে পারছে, তখন তারা বলছে, সরকার বিদেশিদের চাপে মিছিল করতে দিচ্ছে। আমরা বিদেশী শক্তির কাছে মাথা নত করি না। শেখ হাসিনা মাথা নত করার লোক নন। আমাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রসঙ্গ তুলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা নিরাপদে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। কে পাঠিয়েছে? জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান খুনিদের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। মোশতাকের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে জিয়াউর রহমান পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আইনে পরিণত করেছিলেন, যাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার না হয়। এই ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।
কাদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। ইতিহাস বলে তারাই আমাদের সাথে শত্রুতা করেছে। বারবার করেছে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংগঠনের সহসভাপতি শামসুর নাহার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক রহিমা আক্তার সাথী প্রমুখ।
খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের হতদরিদ্র মানুষ এরা দীর্ঘদিনের ভোগান্তি শেষে দ্রব্যমূল্যের দাম মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসলে শুরু হয়ে যায় বিদ্যুৎ ঘাটতি। যার জন্য সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাসপাতাল ও নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। তার রেশ কেটে ওঠার আগেই শুরু হয়ে যায় জ্বালানি সংকট এতে বিপাকে পড়েছে যানবাহন চালকসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা ধারণা করছেন আগামী এক মাসের মধ্যে সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতকর্মীরা এর জন্য বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি ইঙ্গিত দিয়ে দায়ী করছেন।