গত ২০১৮ সালে ২৬ শে মে ‘মা’দ’ক বিরোধী অভিযানে র্যাবের সাথে ‘ব;ন্দু;ক;যু;দ্ধে’ প্রাণ হারান উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক। তার মৃত্যুর খবরে মুহূর্তের মধ্যেই পরিবার-পরিজনদের মাঝে নেমে আসে শোকের কালো ছায়া। আর এবার ইকরামুলের বিষয় নিয়ে কথা বললেন বিদায়ী আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
একরামুলের ঘটনা আমার ব্যক্তিগত ক্যাপাসিটিতে ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা সব সময়ই রাষ্ট্রীয়-সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। আমাদের মেধা-শিক্ষা-অভিজ্ঞতা-দক্ষতাকে সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতে। কোন ত্রুটি থাকলে সেটা অন্য বিষয় কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি। এই ১২ বছরে যত ভালো কাজ হয়েছে তার কৃতিত্ব সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের জনগণের। গত ১২ বছরে আমি পুলিশ কমিশনার ছিলাম, র্যাবের মহাপরিচালক ছিলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব শেষ করছি। যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে, তা অবশ্যই আমার। যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে, তার কারণ আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে পারিনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কারোরই জাদুর কাঠি নেই যে আমি সব অর্জন করব। সংগঠন হলো জীবন্ত বিষয় আর জীবন্ত বিষয়ে বৈশিষ্ট হলো ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়; তো সেখানে একবারে অর্জন করার কোনো কিছু নেই। যে মুহূর্তে অর্জন করবেন পর মুহূর্তে নতুন অর্জনের প্রশ্ন এসে যায়। আমি আমার সময়ে অনেক কিছু অর্জন করেছি, অনেক কিছু অর্জন করার চেষ্টা করেছি।অর্জনের বিষয়টা হচ্ছে একটা প্রক্রিয়া এবং কখনো শেষ না হওয়া প্রক্রিয়া। অর্জনের প্রক্রিয়া কখনো থেমে থাকে না।
আপনি যখন র্যাবে ছিলেন, একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল, একরামুলের ঘটনা, আপনি কি অনুতপ্ত- তিনি বলেন, আপনি যে ঘটনাটি বলেছেন সেটা আইনগত বিষয়। আইনি ব্যাপারটিকে অন্যায্য বা অনৈতিক হিসেবে চিহ্নিত করা না হলে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করার কোনো সুযোগ নেই। এটা আমার ব্যক্তিগত ক্ষমতায় ঘটেনি। অফিসিয়াল ডিউটি করার সময় এটা ঘটেছে… আমার মাঠ পর্যায়ের লোকজন তাদের দায়িত্ব পালন করার সময় ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ঘটনার পরে নিহত ভদ্রলোকের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। এটা আমরা অনেকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করি এটা ব্যক্তিগত বিষয়। যারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন, যাদের সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে, তাদের অনেকেই তাদের পরিচয় জানেন না। ফলে একে ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে নেওয়ার পন্থা সঠিক নয়। যারা আমাদের দায়িত্ব পালন করে, তারা সরকারি দায়িত্ব পালন করে। আমাদের কোনো সহকর্মী ম্যান্ডেটের বাইরে গেছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব আমাদের।ম্যানডেটকে ওভারস্টেপ করেছেন কি না। যদি ওভারস্টেপ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটা হলো বিষয়।
আমার কাছে তথ্য আছে, একাধিক তদন্ত হয়েছে। ম্যাজিস্টারিয়াল ইনকোয়ারি হয়েছে। আমি যখন চলে আসি তখন ইন্টারনাল ইনকোয়ারির আদেশ দিয়ে এসেছি। তদন্ত হয়নি এটা বলা ঠিক হবে না’, বলেন তিনি।
এদিকে ইকরামুল হকের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আইন আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন স্ত্রী আয়েশা বেগম। তার দাবি, অন্যায় ভাবেই তার স্বামীকে মারা হয়েছে। এবং বিচার নিয়েও নানা সংশয়ে ভুগছেন তিনি।