দীর্ঘদিন ধরেই আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বেনজীর আহমেদ। তবে দেখতে দেখতেই বেজে গেল বিদায়ের ঘন্টা। নিয়ম অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এই পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি। তবে অবসরে গেলেও তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিদায়ের সময় বেনজীর আহমেদ বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারী মানুষ। চ্যালেঞ্জময় জীবন আমার। আগামীতে চ্যালেঞ্জ আসলে নেবো।’ সংসদ সদস্য হতে চান কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে অবসরে যাওয়ার আগে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এক বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পুলিশের গু’লি’তে মা’নুষের ‘মৃত্যু’ অ’নাকা’ঙ্ক্ষি’ত, এসব ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ আত্মর’ক্ষা’র্থে গু’লি’ চালায়।
বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কাজ করছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে কয়েক দফায় পুলিশকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান রয়েছে।
বিদায়ী আইজিপি সুন্দরবনের জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের কথাও বলেছেন। বলেন, এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।পুলিশ তাদের আত্মসমর্পণ না করালেও পারতো। তবে এর মাধ্যমে তাদের নতুন জীবন দেওয়া হয়েছে।
দেশ থেকে দুর্নীতি রোধে নানা ভূমিকা পালন করেছেন বেনজির আহমেদ। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি যেভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় বলে দাবি করেছেন অনেকেই।