Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিদায় বেলায় নিজের চাকরি জীবনের অন্যায় সুবিধা গ্রহণ নিয়ে সত্য কথাটি বলে গেলেন ডিএমপি কমিশনার

বিদায় বেলায় নিজের চাকরি জীবনের অন্যায় সুবিধা গ্রহণ নিয়ে সত্য কথাটি বলে গেলেন ডিএমপি কমিশনার

চাকরি জীবন শেষ এ বিদায় নিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। আর এই কারনে বিদায় বেলায় নিজের কাজের অভিজ্ঞতা ও তার সততা নিয়ে বলে গেলেন অনেক কথা।বিদায়ী কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজকে ইবাদত মনে করতাম। আমি আমার কর্মজীবনে কোথাও থেকে কোনো অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমার কর্মজীবনে আপনার মাথায় যে দোয়া ছিল তা আমি কখনো ভুলব না। চাকরিকে আমি ইবাদত মনে করেছি, কর্মজীবনে কোথাও থেকে কোনো অন্যায় সুবিধা নিইনি। একজন সরকারি কর্মকর্তাকে ভালো করার জন্য আপনি যে সমর্থন দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে সালাম ও শ্রদ্ধা।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইজিপি হিসেবে যাকে নির্বাচিত করা হয়েছে, তিনি ভালো করবেন। আমার এই আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে কিছু দুর্বৃত্তের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। যতক্ষণ দম থাকবে, যতক্ষণ আশা থাকবে, ততক্ষণ পুলিশ বাহিনী লড়বে।

কমিউনিটি পুলিশিং কমিশনার বলেন, আমি ডিএমপি কমিশনার হওয়ার ৫-৬ মাস পর করোনা এসেছে। এ সময় বিধিনিষেধের কারণে স্বাভাবিক জমায়েত বন্ধ ছিল। যে কারণে কমিউনিটি পুলিশিং খুব একটা করতে পারিনি। তারপরও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, উচ্ছেদ, নারী নির্যাতন, যৌতুক, মা’দ’কে’র’ মতো সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আগে এসব সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে আলাদা কোনো আইন ছিল না। ক্রমান্বয়ে অপরাধ যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি আইনও বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে আইন কঠোর থেকে কঠোরতর হয়েছে। কিন্তু শুধু আইন দিয়েই কি অপরাধ নির্মূল সম্ভব? হয়তো কমেছে কিন্তু লাভ বেশি নয়। আমরা সবাই মিলে এসব সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধ করলেই এই অপরাধ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

বিদায়ী কমিশনার বলেন, প্রতিটি মাদকসেবী টাকা আদায়ের জন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। একসময় মাদক ব্যবসায় জড়িত। একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরলে শত শত ডিলার তৈরি হয়। আজকের মাদকাসক্ত আগামীকালের ব্যবসায়ী হবে। সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে না পারলে শুধু জেল দিয়ে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়।

আমরা একটি সমাজে বাস করি, আমরা ঠিক করব আমাদের সমাজ কেমন হবে। সবাই হাত মেলালে সমাজের গুটিকয়েক দুর্বৃত্ত পালানোর পথ পাবে না।

প্রসঙ্গত, মো. শফিকুল ইসলাম এর জীবনটি পুরোটাই কর্মময় একটি জীবন।২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, তিনি ডিএমপির কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি পুলিশের তদন্ত বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন সফলতার সাথে।

About Rasel Khalifa

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *