আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হচ্ছে বেনজির আহমেদের আইজিপির অধ্যায়। আইজিপির পদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন আজ তিনি। আর এই কারণেই আজ সংবাদমাধ্যম জুড়ে শুধু তার কথা প্রকাশ করা হচ্ছে।এ দিকে পুলিশের বিদায়ী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশের গুলিতে মানুষের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত, অবশ্যই সব ঘটনার তদন্ত হবে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান এদেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিয়েছে। তাই আমি মনে করি আমাদের দেশে যে আইন আছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সেরকম নয়।
দীর্ঘ ২৮ মাস পুলিশ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় বেলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বেনজীর আহমেদ। আইজিপির পাশাপাশি একমাত্র পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক এবং ডিএমপি কমিশনার হিসেবেও।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, সরকারি দায়িত্ব প্রতিপালন করার জন্য। আমাদের মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা তার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১২ বছরে আমি পুলিশ কমিশনার ছিলাম, ডিজি র্যাব ছিলাম ও আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ করছি। এই তিন ক্যাটাগরিতে যা কিছু অর্জন হয়েছে তার পুরো কৃতিত্ব বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের। আর কোনো ব্যর্থতা থাকলে সেটা অবশ্যই আমার। এটা কাঁধে নেয়ার সাহস আমার রয়েছে।
মানবাধিকারের উন্নয়নে তিনি কী করেছেন এমন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান যখন মানবাধিকার নিয়ে লেখা, তখন বিশ্বের একটি ভালো সংবিধান রচনার কাজ শেষ। পৃথিবীর আর কোনো দেশের সংবিধানে এত মানবাধিকার নেই।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, বাংলাদেশের সকল আইনের উৎস হলো সংবিধান। এদেশে কোনো আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে তা বাতিল করার ক্ষমতা হাইকোর্টের রয়েছে। এমন অনেক আইন বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান এদেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিয়েছে। আমাদের দেশে যে আইন আছে তা পৃথিবীর অন্য দেশে আছে বলে মনে হয় না।
তিনি আরও বলেন, পুলিশকে দেওয়া ‘অ’স্ত্র’ আত্মরক্ষার জন্য। পুলিশ শুধুমাত্র তাদের দায়িত্ব পালনের সময় জীবন রক্ষার জন্য এই অ’স্ত্র’ ‘ব্যবহার করতে পারে। যেখানে পুলিশের গুলি চালানো হয়েছে, সেগুলি সঠিক না ভুল তা তদন্ত করতে হবে।
প্রসঙ্গত,এ দিকে আজ মেয়াদ শেষ হওয়ার কারনে অবসরউত্তর ছুটিতে যাচ্ছেন বেনজির আহমেদ। আর এই কারনে তার সাথে দেয়া হচ্ছে দুই জন সশস্ত্র দেহরক্ষী। জানা গেছে তারা দুই জন ২৪ ঘন্টায় তার সাথে থাকবে তার পাশে থাকবে।