প্রতিবছরেই বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য ধরনের পন্য রপ্তানি হয়ে থাকে। এই খাত থেকে বাংলাদেশ উপার্জন করে থাকে বিপুল পরিমানের অর্থ। তবে গত দুই বছর ধরে বৈশ্বিক মহামারি দেখা দিয়েছে। এতে করে এই খাত থেকে আয়ের পরিমান অনেকটা কমে গেছে। তবে সকল সংকটময় পরিস্তিতির মধ্যে দিয়েই গত কয়েক মাসে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। বিদায়ী বছরের শেষ মাসেও এই আয়ে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
ম/হা/মা/রির মধ্যেই রপ্তানি আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রেখে পণ্য রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা হিসেবে ৪২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা) সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছেন দেশের উদ্যোক্তারা। রবিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোরে (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এমনটাই দেখা গেল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী অতীতে আর কোনো মাসেই এ পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়নি। এর আগে সর্বশেষ গত অক্টোবরে সর্বোচ্চ ৪৭২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
এ রেকর্ডের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। গত মাসে ৪০৪ কোটি ডলারের বা ৩৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। তাতে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তাতে প্রবৃদ্ধি ২৮ শতাংশ। ইপিবি জানিয়েছে, ডিসেম্বরে রেকর্ড রপ্তানির কারণে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এ আয় গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। তবে অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বেশি আছে।
বর্তমান বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি খাত থেকে বিপুল পরিমানের অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে গ্রহন করেছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ। অবশ্যে এই খাতের আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে।