নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির আয়োজিত শনিবারের জনসভায় মঞ্চে উপস্থিত হয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমান ওরফে দৃষ্টি। ওই ঘটনার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দেয়।
ডা. ফারজানা রহমান সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলামের ভাতিজি। এ ঘটনার জেরে অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে শোকজ করেছে জেলা বিএনপি।
রোববার রাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে ডা. ফারজানা রহমান স্পষ্ট করেন ঘটনার পটভূমি। তিনি জানান, গত ৬ ডিসেম্বর বিকেলে চেম্বারে যাওয়ার পথে রিকশা না পেয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় সিংড়া কোর্ট মাঠে পৌঁছালে স্থানীয় কিছু মানুষ তাকে ঘিরে কুশল বিনিময় করেন এবং মঞ্চের নিচে চেয়ারে বসার অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে মাইকে তার নাম ঘোষণা করা হলে তিনি মঞ্চে ওঠেন। তবে বিএনপির নেতারা উপস্থিত হয়ে সভা শুরু করলে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান।
তিনি আরও বলেন, তার চাচাতো বোনের স্বামী সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক হলেও তিনি নিজে কখনো আওয়ামী লীগের কোনো সুবিধা বা পরিচয় গ্রহণ করেননি। তার বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় সিংড়া থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনাটি নিয়ে চলমান আলোচনা ও সমালোচনায় তিনি অত্যন্ত বিব্রত বলে জানিয়েছেন ডা. ফারজানা। তার বক্তব্য, একটি সাধারণ ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।