বিডিআর মামলার বিচারকার্য প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায়, বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতে বিচার অনুষ্ঠিত হবে না। তবে, বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদরাসা এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের মাঠে নির্মিত ভবনের অস্থায়ী আদালতে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এ তথ্য বুধবার রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পিআরও’র মাধ্যমে জানানো হয়। এদিকে, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত সদস্য এবং ভুক্তভোগীদের পরিবার তিন দফা দাবিতে রাতভর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছে।
এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল, ঢাকার পিলখানা বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার জন্য বকশীবাজার এলাকায় সরকারী আলিয়া মাদরাসা এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের মাঠে নির্মিত ভবনটিকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে, গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ওই অস্থায়ী আদালত ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর ও ক্ষতি হওয়ায় এবং পরবর্তীতে ছাত্রদের বাধার কারণে আদালতের কার্যক্রম সেখানে চালানো সম্ভব হয়নি। ফলে, আসামিদের নিরাপত্তা এবং মামলার পরিচালনা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে আসামিদের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হচ্ছে, তাই সেখানে নির্মিত অস্থায়ী আদালতে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হলে আসামিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং আনা-নেওয়ার সুবিধা হবে।
এদিকে, ৯ জানুয়ারি গভীর রাতেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত সদস্য এবং তাদের পরিবার অবস্থান করছেন। তাদের প্রধান দাবিগুলি হল—পিলখানা হত্যাকাণ্ডে দণ্ডিত বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা বাতিল, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও পুনর্বাসন, এবং পিলখানা হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।