ক্ষমতাসীন সরকার দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট করে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংকটের মুখে ফেলেছে। যার কারনে রিজার্ভ সংকট তৈরী হয়েছে এবং জ্বালানি তেলসহ আমদানিকৃত পন্য ক্রয় করতে পারছে না। এ জন্য বিভিন্ন দেশের নিকট থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসে দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবাহু পাঠকদের জন্য সেটি নিচে তুলে ধরা হল।
আইজক্যা একটা খুব ইন্টারেস্টিং ফিডব্যাক পাইলাম। ধামরাইয়ের এক গ্রামের এক কৃষক দুধ বেচতে যাচ্ছে হাটে, পথে দেখা এক তৃণমূলের বিএনপির কর্মীর সাথে। সেই কৃষক বিএনপির কর্মিকে জিজ্ঞাসা করে, দেশের খবর কী? বিএনপি কর্মি বলে, ওই আগের মতোই। তো সেই কৃষক সোজা হয়ে দাড়ায়ে বলে, বিটি তো চায়নার টেকা নিবে তাই ইন্ডিয়াতে গেছে বুঝ দিতে যেন ইন্ডিয়া চেইত্যা না যায়। বিএনপির কর্মী খুব আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করে, আপনি এইটা কই শুনলেন? কৃষক জবাব দেয়, পিনাকীরে চিনেন না? ওর ভিডিও দেইখেন, আমার বাসায় আইসেন আইজকা শুনায়ে দিমু।
সেই বিএনপির কর্মী আমার বন্ধুকে ফোন করে জানাইছেন। ভাই রাশেদ আপনার ফিডব্যাক পাইছি। অনেক ধন্যবাদ।
অনেকে বলেন আপনি ভিডিওতে অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলেন কেন? আমি অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলিনা। কিন্তু আমি সুশীল ভদ্র ভাষায় কথা বলিনা। প্রথম কারণ আমি সুশীল এবং ভদ্র এলিটদের পছন্দ করিনা, আমি তাদের শত্রুজ্ঞান করি। আমি তাদের ভাষাকে ব্যবহার করবোনা। ভাষাই চিন্তা করতে শেখায়। আমি এলিট হইতে চাইনা, এলিট বর্গভুক্ত হইতে চাইনা। আমি এলিটিজমের খ্যাতা পুড়ি। আমি বাংলাদেশ থিকা এলিটিজম খেদামু। ওইটাই বাংলাদেশের সব সমস্যার মুলে। বাংলাদেশের এলিটেরা এইটা জানে, আমি তাদের কইলজায় হাত দিমু। তাই তারা আমারে অশিক্ষিত, মুর্খ, গাড়ল বলে ডাকে।
আমি আনন্দিত এইটা জাইন্যা যে, আমি যাদের হইতে চাই, আমি যাদের কণ্ঠস্বর হইতে চাই তারা আমারে চিনতেছে। আমি যেন বাংলাদেশের সবচাইতে পিছায়ে পড়া মানুষটার একজন হইতে পারি। যেন সেও আমারে ভরসায় আর ভালোবাসায় গ্রহণ করতে পারে। আমি দাবায়ে রাখা সংখ্যাগরিষ্ঠের কন্ঠস্বর হইতে চাই। যেন একদিন তারা আপনার এলিট মসনদকে চুরমার করে দেয়ার হিম্মত অর্জন করে বাংলাদেশে জনগনের শাসন কায়েম করতে পারে।
প্রসঙ্গত, দেশের একটি শ্রেণীর মানুষ আছে যারা দেশের জন্য নিরবে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু কেউ তাদের খবর নেই না তাদের কন্ঠস্বর হওয়ার প্রত্যাশা জানান পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দেশের শাসকগোষ্ঠি আছে যারা এদেরকে চুষে খাচ্ছে তারা একদিন প্রতিবাদি হয়ে জনগণের শাসন ব্যবস্থা চালু করবে।