বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের অন্যান্য দলের মতই বানলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিও আয়োজন করে শোভাযাত্রার। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রায় সকল নেতা নেত্রীগন। শুরুতেই কথা বলেন মির্জা ফখরুল তবে তিনি আনন্দে নয় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কথা বলেন শোভাযাত্রায়। ক্ষোভ প্রকাশ করেন নানান অনিয়ম নিয়ে। কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসায় বাধা দেওয়ার ব্যাপারে।
বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির আয়োজিত বিজয় শোভাযাত্রার শুরুতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই আজকের শোভাযাত্রায় অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে অংশ নিচ্ছি। কারণ, গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া আজ কারাগারে বন্দি। বারবার আবেদন করার পরও তার সুচিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা সরকার করছে না। অথচ বিজয়ের ৫০ বছরে আমাদের সবচেয়ে খুশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা সেটি পারছি না।’
বিজয় শোভাযাত্রায় আজ রবিবার সকাল থেকেই দলে দলে আসতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। দুপুরের দিকে শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। এতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্যের শুরুতেই মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে দেশে বাকস্বাধীনতা নেই। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়া মানে বাকস্বাধীনতা থাকবে, গণতন্ত্র থাকবে।’ আজকে দেশে কেউ কথা বলতে পারে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীতে বিএনপির কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী। আজকের শোভাযাত্রাকে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার শোভাযাত্রা বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার আমাদের লেখার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই আজকের এই শোভাযাত্রা দেশের মানুষের নতুন করে সংগ্রামের শোভাযাত্রা। আজকের শোভাযাত্রা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শোভাযাত্রা। দেশের মানুষকে মুক্ত করার শোভাযাত্রা। দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার শোভাযাত্রা।’
শোভাযাত্রায় যুবদল, কৃষকদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও জাতীয় পতাকা নিয়ে সমবেত হন। দেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের।
শোভাযাত্রাটি নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে কাকরাইল ও শান্তিনগর ঘুরে পুনরায় নয়াপল্টনে এসে শেষ হবে। বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রা কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। যার বিদেশে চিকিৎসার জন্য বিএনপি বহুদিন যাবত আন্দোলন করে আসছে। তবে আদালত থেকে পারমিশন না মেলায় বিদেশে চিকিৎসা হচ্ছে না তার। তবে এসব কিছুর পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত বলেই দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। যদিও প্রধানমন্ত্রী সেটা অস্বীকার করেছেন। স্বাধীনতার শোভাযাত্রায় মির্জা ফখরুল এসব বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা আন্দোলন করলেও কি হবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। এখন দেখার বিষয় শুভযাত্রা এবং আন্দোলনের ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয় কিনা।