শাহরুখের ছেলে আরিয়ান খানের নিষিদ্ধ দ্রব্যের মাম’লার তদন্ত চলমান রয়েছে এবার নতুন মোড় নিল এই তদন্তে। বিজয় পাগড়ে নামে মা’মলার একজন সাক্ষী এমন ধরনের তোলপাড় করা দাবি করেছেন।
মা’মলা পরিচালনা করার জন্য গঠিত বিশেষ তদন্ত টিমের নিকট তিনি দাবি করেছেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করার পরিকল্পনা করা হয় এবং এই জন্যই আরিয়ান খানকে পূর্বেই করার পরিকল্পনার মাধ্যমে তাকে ফাঁ’/সা’নো হয়েছে। আর এই ধরনের মহা পরিকল্পনার পিছনে যার হাত রয়েছে তিনি হলেন সুনীল পাটিল নামে এক রাজনীতিবিদ যিনি ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) হয়ে রাজনীতি করে থাকেন। তার সাথে এই পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন মণীশ ভানুশালী নামে বিজেপির ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি।
বিজয় পাগড়ে বলেন যে, তিনি ২০০৮ সালে সুনীলকে অনুসরণ করতে শুরু করেছিলেন তার পাওনা টাকা আদায় করার জন্য। সুনীলের সঙ্গে আহমেদাবাদ, সুরাত ও মুম্বাই গিয়েছিলেন তিনি। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে অবস্থান করছেন সুনীল।
সুনীল তাকে জানিয়েছিলেন, ‘একটা বড় কাজ পেয়েছি। আপনার টাকা ফিরিয়ে দেব।’
বিজয় জানান, মুম্বাইয়ে ওই হোটেলেই আরিয়ান মা’মলার আরেক সাক্ষী কেপি গোসাভি নামেও একটি রুম বুক করা হয়েছিল। প্রমোদতরীতে নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) অভিযান চালানোর কয়েক দিন আগে ওই হোটেলেই সুনীল, গোসাভির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা মনিশ ভানুশালী। সেখানে বসেই তারা আরিয়ানকে ফাঁ’/সানোর ছক আঁকেন।
বিজয় বলেন, ‘আমিও ওই হোটেলে তাদের তিনজনকে একসঙ্গে দেখতে পাই। সে সময় সুনীল ও মনিশের কথোপকথন শুনতে পাই। তারা বলছিলেন— বড় কাজ হয়ে গেছে। আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা হতে হবে। তবে পাগাড়েকে সঙ্গে নিও না।’
বিজয় আরও দাবি করেন যে, সুনীল তার কাছে বকেয়া টাকা গত ৩ অক্টোবর ফেরত দেওয়ার কথা বলেন এবং তাকে মুম্বাইয়ের ঐ হোটেলটিতে আসতে বলেন। সেখানে মনীশের সাথে সাক্ষাৎ হয়। তার পরে তিনি তাদের নিয়ে এনসিবি অফিসে যান। পথে মণীশ ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিল। মনীশ পূজা, স্যাম আর ময়ূরের নাম শুনেছে।
বিজয় বলেন, “এরপর, আমি যখন এনসিবি অফিসে পৌঁছলাম, সেখানে সাংবাদিকদের ভিড় দেখতে পেলাম। আমি সেই সময় শুনতে পাই যে, এনসিবি আরিয়ান খানকে েকটি ক্রুজ শিপ থেকে আ’টক করেছে। একটি ভিডিও ক্লিপ আমার নজরে আসে, সেখানে মনীশ এবং গোসাভি আরিয়ানের পাশে থেকে তাকে ঘিরে রেখে হাটছেন। তখনই বিষয়টি আমার কাছে আর জড়ানো ছিল না, পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমি বুঝতে পারি কিভাবে সুনীল আমাকে দেওয়ার জন্য টাকা জোগাড় করেছে।’
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।