ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের লাশ দুদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শার্শার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। এর আগে সোমবার (২২ জানুয়ারি) শার্শা উপজেলার ধান্যাখোলার জেলেপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সিপাহী মোহাম্মদ রইশুদ্দীন নিহত হন।
বুধবার সকালে ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিল ও বিজিবির সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা আনুষ্ঠানিকভাবে মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ গ্রহণ করেন। মরদেহ গ্রহণের সময় বিজিবি সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এর আগে বিজিবি মঙ্গলবার তার মৃত্যুর ঘটনায় বিএসএফের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে প্রতিবাদপত্র দেয়।
৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল জামিল জানান, নিহতের প্রথম জানাজা যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নে অনুষ্ঠিত হয়। পরে হেলিকপ্টারযোগে নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ভোর ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যাখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় একদল গরু পাচারকারীকে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখে বিজিবি টহল দল।
এ সময় টহল দলের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে ভারতের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় টহল দলের সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইসুদ্দিন চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে ঘন কুয়াশার কারণে হারিয়ে যান।
প্রাথমিকভাবে তাকে পাওয়া না গেলেও পরে জানা যায় বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।