ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে মা হওয়ার পর থেকে মাহি অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত নন। তবে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। এ বছর রাজশাহী-১ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন মাহি। কিন্তু জয়ের মুখ দেখেননি এই নায়িকা।
পরে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র কিনেন মাহি। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হন এই নায়িকা। কয়েকদিন পর হঠাৎ করেই ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় দ্বিতীয় স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। এবার জানালেন একাকিত্বে ভুগছেন তিনি।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন মাহি। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন- ‘একা একা লাগে।’ এই পোস্টটি দেওয়ার পর কমেন্ট বক্সে নানা মন্তব্য আসতে শুরু করে।
ভিডিও বার্তায় মাহি বলেন, আসলে কী কারণে একটি ছাদের নিচে দুইটি মানুষ কেন ভালো নেই, সেটি তৃতীয় পক্ষ কেউ বলতে পারবে না সেই দুইজন মানুষ ছাড়া। আর তাই সব কিছু মিলিয়েই দুজন দুজনের প্রতি সম্মান রেখেই আলাদা হচ্ছেন তারা। এমনকি অনেক আগে থেকেই আলাদা থাকছেন মাহি-রকিব।
এদিন এই অভিনেত্রী তার ছেলে ফারিশকে নিয়ে বলেন, আমার ছেলেকে নিয়েও আপনারা অনেকে খারাপ কমেন্টস করেন, সেগুলো দেখে মা হিসেবে আমার বুকটা ফেটে যায়। কোনো বাচ্চাকে নিয়ে এমন খারাপ কমেন্টস করবেন না, সে যেমনি হোক না কেনো দেখতে।
আগের মতো চলচ্চিত্রে নিয়মিত নন মাহি। রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে পারেননি। একদিকে দ্বিতীয় বিয়েও ভেঙেছে, অন্যদিকে অভিনেত্রীর ছেলের গায়ের রং নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। সব মিলিয়ে বলা যায় মাহি ডিপ্রেশনে ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, মাহিয়া মাহি ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রাকিবকে বিয়ে করেন। এটি ছিল মাহি ও রাকিবের দ্বিতীয় বিয়ে। মাহি ২৪ মে, ২-১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন। কয়েক বছর পর, ২০২০ সালের মে মাসে, মাহি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সাথে তার বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।