একজন বিচারপতি (জজ) এর দায়িত্ব যেকোন অপরাধী ব্যক্তিকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া ও নিরাপরাধ ব্যক্তিকে মুক্ত করা। যতক্ষন প্রর্যন্ত অপরাধ ও নির্দষ প্রমানিত না হয় তক্ষন কোন অবস্থাতেই আদালত সিন্ধান্ত নিতে পারে না। আইনের চোখ অন্ধ হয়ে থাকে অপরাধি ব্যক্তি ধনি, গরিব বা সমাজের কোন গুরুত্ব পূর্ন ব্যক্তি হক না কেন সে অপরাধ করলে তার শাশ্তি অনির্বায্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আদালতের রায়ে আপত্তি যানিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য সংবাদ মাধ্যম ও যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে।
লোহাগাড়ার এক ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে বিচারককে হুমকি দেন। ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা বিচার দাবি করেন। আদালতের আদেশ পছন্দ না হওয়ায় প্রকাশ্যে বিচারকের সমালোচনা করেছেন চট্টগ্রামের ( Chittagong ) লোহাগাড়া উপজেলার চরমবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন। গত ৪ মার্চ এক বৈঠকে তিনি এ হুমকি দেন।
সাতকানিয়া উপজেলা সিনিয়র সহকারী জজ ইব্রাহিম খলিল ( Judge Ibrahim Khalil ) সম্প্রতি ওই এলাকার এক খণ্ড জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে অচলাবস্থা জারি করেন। কিন্তু তিনি তা না মেনে এক পক্ষকে জমি দখল বুঝিয়ে দেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বিচারক তাকে কারণ জানান। এরপর তিনি আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চান। কিন্তু পরে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জনপ্রতিনিধির এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করে সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতি।
রোববার (১৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের ( Chittagong ) সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন কচি এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনের ( Helal Uddin ) অপসারণ চাই।
তবে চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন নিজের ভুল স্বীকার করে আদালতে ক্ষমা চেয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বহিষ্কৃত তাঁতী লীগ ( Weavers League ) নেতা।
উল্লেখ্য, আমাদের সবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ। আদালতের আইনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার সিন্ধান্ত নিতে পারে না। যে অপরাধির অপরাধ প্রমানিত হবে তার অপরাধানুজায়ি তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে এক সংবাদ সম্মেলনে আইজীবীরা এসব কথা জানান । তারা আরো বলেছেন, বিচারকে কুরুচি পূর্ন যে সকল বক্তব্য দিয়েছেন হেলাল উদ্দিন, তার যথা যত শাশ্তির দাবি জানিয়েছি আমরা।