সম্প্রতি তারকাদের সম্পর্কে যে ধরনের বিতর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে আসছে তা নিয়ে এক প্রকার প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে বিনোদন জগতের ব্যক্তিরা।কারণ তারকারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ালে তার দায় পড়ে সমগ্র বিনোদন জগতে সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।যদিও ঢালাও ভাবে তাদের ওপর দোষ চাপানো যায় না কারণ সবাই এমন কাজে জড়াই না কিন্তু দিন শেষে তার দায় পড়ে তাদের ওপর। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
হুমায়রা হিমুর কারণে বিগো নামের বহুল বিতর্কিত অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। এর আগে কখনো বিগো অ্যাপের কথা শুনিনি। হয়তোবা যুগের তুলনায় আমি ব্যাকডেটেড রয়ে গিয়েছি বলে। যেদিন হিমুকে দেখলাম কুৎসিত ইঙ্গিতে নিজের হাতে নিচ থেকে উপরে লেহন করেছে গা রিরি করে উঠলো ঘৃণায়। এসব বিশ্রী নষ্টামিকে আঁকড়ে ধরে ক্রমশ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হয়েছিল হুমায়রা হিমু। কাউকে কাউকে দেখেছি ঊশৃঙ্খল হিমুর পক্ষে ওকালতি করেছেন। কেউ যদি তার বেশুমার অ্যালার্জির কারণে ডিপ্রেশনের দিকে ঝুঁকে পড়ে তাহলে তাকে কেউ রক্ষা করতে পারেনা। নিজের ব্যর্থতাকে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর ম/হাব্যাধিতে আক্রান্ত ছিল হিমু। যাইহোক, এখন সে সবকিছুর ঊর্ধ্বে চলে গেছে। তার আত্মার শান্তি কামনা করি। হিমুর কল্যাণে দেখার সুযোগ পেলাম আমাদের প্রখ্যাত চিত্রতারকা মৌসুমি বিগো অ্যাপে নিয়মিত লাইভ করতেন। ঘন্টার পর ঘন্টা তিনি ভিডিও চ্যাটে থিসিস গবেষণা করতেন।মৌসুমির ১২ মিনিটের একটা বিগো লাইভ দেখলাম। দেখে তো আমার চোখ ছানাবড়া।একি দেখছি আমি? ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত তক’-এর সেই স্বপ্নের নায়িকা মৌসুমি? ইনি কি খাইরুন সুন্দরীর সেই অপরূপা গাঁয়ের বঁধু মৌসুমি? সস্তা মহিলাদের মত মৌসুমি জুনিয়র ছেলেদের সাথে লাইভ চ্যাট করছেন কি করে? একটা সময়ে রুপালি পর্দার তারকাদের স্বপ্নের জগতের অধিবাসী মনে হত। তাদেরকে ভালবাসা যাবে, কিন্তু সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন তারা। যেমনটি ছিলেন শাবানা ববিতা। এমনও দিন গেছে যখন মানুষ এফডিসির গেটের বাইরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতো কবরী শাবানা ববিতা অলিভিয়া রোজিনা সুচরিতা নূতন অঞ্জনাদের একঝলক দেখার জন্য। গাড়ির কাঁচের ফাঁক দিয়ে একটিবার প্রিয় অভিনেত্রীদের দেখবার জন্য সেকি প্রাঞ্জল কৌতূহল কাজ করতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। এখন আপনি চাইলেই চিত্রতারকাদের সামনাসামনি দেখতে পারেন। তাদের সাথে বসে চটপটি ফুচকা খেতে পারেন। সেলফি তুলতে পারেন আরও কত কি।
প্রযুক্তির ছোঁয়া এসে মানুষের জীবন পাল্টে দিয়েছে। প্রযুক্তির আশীর্বাদে অনেককে দেখা গেছে নিজের সুনাম নষ্ট করতে। যেমন, মৌসুমির মত তারকা কিভাবে নিজের ব্যক্তিত্বকে টেনেহিঁচড়ে এতো নিচে নামাতে পারলেন? জুনিয়র ছেলেদের সাথে ঠাট্টা-তামাশা করছেন বিগোতে বসে। আ/পত্তিকর কথাবার্তায় অংশ নিয়েছেন। যা দেখে মৌসুমির ভক্ত হিসেবে অত্যন্ত আহত হয়েছি। খোলা চুলে সেজেগুজে জুনিয়রদের সাথে ফাউল টক করেছেন মৌসুমি। এই ঘোর কাটতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগেছে। মৌসুমি আমাদের ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রির প্রখ্যাত অভিনেত্রী। যার জনপ্রিয়তা নিয়ে একবিন্দু সংশয় কারো নেই। কিন্তু সেই মৌসুমিকে বিগো লাইভে স্থুল কথাবার্তা আদান প্রদান করতে দেখে স্তম্ভিত হয়েছি। স্থুল কথাবার্তা দেখার পর তার ভক্তদের মন ভেঙেছে। বিগো সার্কেলে অসৎ সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন মৌসুমি। তার কথোপকথন অনুযায়ী তিনি দিনে মিনিমাম তিন ঘন্টা লাইভে থাকেন খেজুরে আলাপ করার জন্য। এভাবে তিনি নিজেকে ব্যক্তিত্বহীনে পরিণত করছেন কেন জানিনা। একপর্যায়ে মনে হয়েছে তার মধ্যে আন্তঃগোলযোগ চলছে, তিনি সুস্থ নন। লিটল বিট মেন্টালি সিকনেস তার মধ্যে আছে। আশ্চর্য হচ্ছি, শেষমেশ মৌসুমিও গড়পড়তার খাতায় নাম লেখালেন? এই দুঃখ রাখার জায়গা কোথায়?