আমাদের পাড়ার একেবারে শেষের মোড়ে, একজন বয়স্ক মহিলা ফুটপাতে বসে বাহারি মনোহারী জিনিসপত্র বিক্রি করেন। সর্ব সাকুল্যে হাজার দুয়েক টাকার মালামাল আছে কিনা সন্দেহ। তিনি বহু বছর ধরে সেখানে কানের দুল, প্লাস্টিকের চুড়ি, কপালের টিপসহ প্রায় ৫০টি সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করছেন এবং পথচারীদের কাছে ময়নার খালা হিসেবে পরিচিত যারা তার নিয়মিত ক্রেতা। আপনি যদি তাকে তার প্রতিদিনের বিক্রয় এবং লাভের পরিসংখ্যান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তবে তিনি আপনাকে বিনা দ্বিধায় বলবেন, মহলবিশেষকে রোজ ২০০ টাকা চাঁদা দেয়ার পরও তার লাভ থাকে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মতো। ময়নার মাকে বাংলাদেশের এক ও দুই নম্বর সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলবেন- ‘হুয়ার পোরা জোর করে যে ট্যাহা নিয়া যায় তাই মোর এক নম্বর সমস্যা। আর দ্বিতীয় সমস্যা হলো- ‘মুই যেহানে দোহান পাতি হেয়ানে একটা খচ্চর কুত্তা রোজ রাতে হাগি যায়।’ কুত্তার গু পরিষ্কার করা এবং চাঁদাবাজদেরকে চাঁদা দেয়াই ময়নার মার কাছে প্রতিদিন কেয়ামতের আজাব বলে মনে হয়।
আপনি যদি পুরানা পল্টন মোড়ের কয়েকজন ভ্যানচালকের সাথে কথা বলেন তাহলে জানতে পারবেন যে, মেট্রোরেলের কাজ শুরু হওয়ার আগে তারা উল্টোপথে চলার জন্য প্রতিবার দুই টাকা করে চাঁদা দিতেন। পরে সেটি বেড়ে পাঁচ টাকা হয় এবং করোনার লকডাউন ওঠে যাওয়ার পর যখন প্রেস ক্লাব, তোপখানা রোড এবং পুরানা পল্টন মোড়ে দিনের বেলায় ট্রাফিক জ্যাম প্রকট হয় তখন প্রতি ট্রিপ উল্টো যাত্রার জন্য ১০ টাকা করে পরিশোধ করতে হয়। এরপর আপনি যদি রমনা পার্ক, ধানমন্ডি লেক, শাহবাগ মোড় এলাকার ভিক্ষুকদের সাথে একান্ত কথা বলেন তবে তাদের ভিক্ষার টাকার ওপর থেকে কত টাকা চেতনার সুবোধ বালকরা নিয়ে নেয় তা শুনলে বুঝতে পারবেন ওদের কাছে এক নম্বর সমস্যা কী!
এরপর আপনি যদি বিকেল বেলা অথবা সন্ধ্যার পর রমনা পার্কের যে অংশটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সাথে মিশেছে সেখানকার ফুটপাথ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের উল্টো দিকের ফুটপাথ, রাজমণি সিনেমা হলের আশপাশ, কাকরাইলের আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের সম্মুখভাগ, প্রেস ক্লাবের উল্টো দিকে, বিএমএ ভবনের সামনে চক্কর দেন তবে বহু সংখ্যক পথবধূদের সাক্ষাৎ পাবেন। তাদের কাছে যদি দুটো সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করেন, তবে প্রথমেই বলবে, কেবল রাস্তায় দাঁড়ানোর জন্য- নির্দিষ্ট টাকা দিতে হয় চাঁদাবাজদের এবং কোনো কাস্টমার না পেলে তাদের ক্ষতি দ্বিগুণ হয়ে যায়। প্রথমত, আয়-রোজগার ছাড়াই চাঁদা প্রদান- দ্বিতীয়ত, চাঁদাবাজদের বিনা পয়সায় দেহদান।
আপনি যদি দিনের বেলায় মতিঝিল দিলকুশার রাজউক ভবনে যান- অথবা সেগুন বাগিচা-মালিবাগ এলাকার কোনো ভ্যাট অফিসে যান তবে কতগুলো দালাল পিয়ন, চাপরাশি এবং কেরানির সন্ধান পাবেন। তাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হবে আপনি শয়তানের রাজ্যের বাসিন্দা এবং নিয়ম-কানুন, নীতি-নৈতিকতা, ডরভয় কিংবা লাজ-লজ্জা দুনিয়া থেকে ওঠে গেছে। আপনি যদি ওসব এলাকায় করোনাপূর্ব সময়ে একাধিকবার গিয়ে থাকেন তবে চলমান সময়ের পরিস্থিতি দেখলে আপনার বারবার পাগলা কুকুর-বন্য মহিষ এবং ক্ষুধার্ত শকুনের হিংস্রতার কথা মনে পড়ে যাবে।
আপনি যদি উদাসীন প্রকৃতির ভবঘুরে লোক হন তবে রাজধানীতে আপনার প্রধান সমস্যা হবে আপনি কথা বলার মতো কোনো লোক পাবেন না। শহরের কোথাও দাঁড়িয়ে নির্জনে প্রকৃতি দেখার যে অভ্যাস আপনার বহু পুরোনো সেই অভ্যাসের পরাকাষ্ঠা দেখাতে সাহস পাবেন না। কারণ মাত্র কয়েক দিন আগে আপনি ধানমন্ডির সাত রাস্তার এক নির্জন স্থানে দাঁড়িয়ে কী যেন ভাবছিলেন। হঠাৎ দু’টো চ্যাংড়া ছেলেমেয়ে সেখানে এলো এবং আপনি তাদের সীমাহীন দারিদ্র্য, অপুষ্টিজনিত শরীরের বস্ত্রহীন সৌন্দর্য এবং তাদের ক্ষুধার্ত পেটের মাংসপেশির গঠন প্রণালী নিয়ে যখন গভীর চিন্তায় মগ্ন হতে যাবেন ওমনি সেখানে মোটরসাইকেলে করে দুই দানব এসে আপনার কাছে যা কিছু আছে তা অবিলম্বে এবং নিঃশব্দে বের করে দেয়ার জন্য হুঙ্কার দেয়। দানবের বজ্রনিনাদ- তাদের হাতের পিস্তল এবং বেশ ঝকঝকে তকতকে ড্যাগার দেখে আপনার প্রচণ্ড হাঁটু কাঁপুনি শুরু হয়- তারপর সেই কাঁপন হাত-তলপেটের নাভির গোড়া এবং দুটো ঠোঁটকে আক্রান্ত করে। আপনি নিজের নাম- পিতার নাম এবং স্থানকালপাত্র ভুলে গিয়ে গোল গোল চোখে তাকিয়ে রইলেন।
দানবরা আপনার দুরবস্থা বুঝতে পারল। তারা আপনার পকেট তল্লাশি করে যখন একটি চিরকুটে লিখা কয়েক লাইনের অসমাপ্ত কবিতা ছাড়া কিছুই পেলো না তখন তাদের ভারী রাগ হলো। তারা আপনার দুই গালে কষিয়ে তিন চারটে থাপ্পড় বসিয়ে দিয়ে চলে গেল। থাপ্পড় খাওয়ার পর আপনার কাঁপুনি বন্ধ হয়ে গেল এবং বুদ্ধির দরজা খুলে গেল। আপনার আত্মমর্যাদাবোধও প্রবল হলো। আপনি থাপ্পড়ের যন্ত্রণা ভুুলে গিয়ে আশপাশে তাকিয়ে দেখতে থাকলেন যে, মোট কতজন লোক আপনার দুরবস্থার চাক্ষুষ সাক্ষী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। আপনি লক্ষ করেন যে, আপনার প্রতি যখন দানবেরা আক্রমণ শুরু করেছিল তখন আশপাশের সবাই দৌড়ে পালিয়েছিল কেবল সেই অনাহারক্লিষ্ট লিকলিকে শরীরের অর্ধ উলঙ্গ ছেলেমেয়ে দুটো ছাড়া। ওরা আপনার দুরবস্থা দেখে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছিল এবং থাপ্পড় খাওয়ার সময় আপনি নাকি যন্ত্রণায় ফুত ফুত শব্দ করেছিলেন সে কথা বলে আপনাকে সান্ত¦না দেয়ার ছলে বলতে থাকল- ‘মামুর গাল দুইডা চোপাড়ের চোড়ে ফুইল্যা গেছে।’
আপনি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে যেতে চাইলেন। কারণ থাপ্পড় খাওয়ার পর যেভাবে আপনার বুদ্ধির দরজা খুলে গেছে তাতে আপনার বিশ্বাস জন্মেছে যে, এবার আপনি নিশ্চয়ই আপনার অসমাপ্ত সনেটের বাকি দুটো লাইন লিখতে পারবেন। আপনি দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে মেডিনোভা হাসপাতালের গলির সামনে এলেন। এরপর আপনি জাহাজ বাড়ির সামনে গিয়ে লেকের ওয়াকওয়ে ধরে কিছুটা এগোবেন। তারপর বটগাছটা পেরিয়ে আপনার প্রিয় জায়গাটিতে বসে কবিতা রচনায় হাত দেবেন। কিন্তু আরেকটি দুর্ঘটনার কারণে মেডিনোভা হাসপাতালের সামনে আপনাকে দাঁড়াতে হলো। আপনি দেখলেন, প্রায় শ’ খানেক লোক জটলা করে কী যেন দেখছে এবং যে যার মতো হৈ-হুল্লোড় করে কী যেন বলছে। আপনি ভিড় ঠেলে এগিয়ে গিয়ে দেখলেন, দু’জন মধ্যবয়সী মহিলা আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় গালাগাল করছে, উপস্থিত লোকজন বেশ আগ্রহভরে সেই গালাগাল শুনছে এবং মহিলাদের রক্তাক্ত শরীর দেখে পক্ষে-বিপক্ষে ফিসফিসিয়ে নানা কথা বলছে।
আপনি পুরো ঘটনা থেকে যা জানতে পারলেন তা হলো- ভদ্রমহিলাদ্বয় রিকশা করে কোথাও যাচ্ছিলেন। এমন সময় মেডিনোভার কাছাকাছি কেএফসির দোকানের সামনে দুই ছিনতাইকারীর মোটরসাইকেল মহিলাদের রিকশার গতিরোধ করে। একজন ছিনতাইকারী মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগ হ্যাঁচকা টানে ছিনিয়ে নেয় এবং অপরজন একটানে এক মহিলার কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার সময় কান দুটো ছিঁড়ে ফেলে।
উভয় মহিলা রিকশা থেকে পড়ে আহত ও রক্তাক্ত হয়ে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এলে উৎসুক পথিকরা তাদের দেখার জন্য ভিড় করেন। আহত মহিলারা লোকজনের ভিড় দেখে বিরক্ত হন এবং রাগতস্বরে বলেন, আপনাদের সামনে ছিনতাই হলো অথচ একটা লোক এগিয়ে এলেন না, আর এখন ভিড় করেছেন তামাশা দেখার জন্য। যান যান যার যার কাজে যান, আমাদেরকে চিকিৎসা নিতে দিন।
আপনি মহিলাদের ভর্ৎসনায় খানিকটা বিব্রত হয়ে ফিরতে উদ্যত হলেন। এমন সময় শুনলেন, ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ কেউ বলছে- বোরখা পড়ে রাস্তায় নামলে ছিনতাইকারী ধরত না। আরেকজন বলছে, মহিলাদের দাপট দেখ, এত ছ্যাঁচা খাওয়ার পরও দেমাগ কমেনি। যেভাবে খটর খটর করছে তাতে মনে হয় ওনাদের ওপর ওনাদের জামাইদের অভিশাপ পড়েছে। বাসার মধ্যে সারাদিন স্বামী-সন্তানদের ওপর নির্যাতন চালায়, একা একা বেপর্দা হয়ে বের হয়, ধর্ম কর্ম মানে না, সেই জন্যই তো ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছে। আপনার ইচ্ছে হলো দুই চারটি কথার জবাব দেয়ার কিন্তু কিছুক্ষণ আগের থাপ্পড়ে ফুলে যাওয়া গালের কথা ভেবে আপনি আর উদ্যোগী হলেন না। বরং যে উদ্দেশ্যে এ দিকে এসেছিলেন তা করার জন্য লেকের পাড়ের নির্দিষ্ট স্থানে বসে কবিতার রাজ্যে হারিয়ে গেলেন।
উল্লিখিত দৃশ্যের বাইরে আপনি যদি একজন রাজনীতিসচেতন লোক হন তবে আপনার কাছে বাংলাদেশের এক নম্বর সমস্যা মনে হবে- প্রতিপক্ষের থুঁতনি এবং মুখ ভেংচি দেয়া মিথ্যাচার। তাদের কণ্ঠস্বর আপনার কাছে গর্দভ গণ্ডার কিংবা ঝিঁঝি পোকার শব্দের চেয়েও বিরক্তিকর বলে মনে হবে। তাদের কর্মকাণ্ড আপনার কাছে অমর চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর গুয়ার্নিকা চিত্রকর্মের চেয়েও জঘন্যতম মানবতাবিরোধী চিত্রপট বলে মনে হবে। তাদের হাসি দেখলে ভয়ে আপনার পিলে চমকাতে থাকবে। অন্য দিকে তাদের কান্নায় আপনার মন মানস ত্রিমাত্রিক রসায়ন সৃষ্টি করবে। প্রথমত মনে হবে ওরা ভণ্ডামি করে লোকজনকে বিভ্রান্ত করছে। দ্বিতীয়ত ওরা কেঁদে কেঁদে মানুষের মন নরম করে ভয়াবহ কিছু ঘটানোর পাঁয়তারা করছে। তৃতীয়ত, ওরা যখন সত্যিই আঘাত পেয়ে অথবা দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে কাঁদে তখন আপনার মধ্যে এক ধরনের পুলকের সৃষ্টি হয়। আপনি সে দিন মনের আনন্দে অতিশয় ভালো মানুষ হয়ে নিজে পর্যাপ্ত ভালো ভালো পানাহার করেন এবং আত্মীয়-স্বজন, গরিব-দুঃখী এতিম-মিসকিনকে একটু মিষ্টিমুখ করিয়ে প্রতিপক্ষের বেদনার প্রতি সমবেদনা জানান।
আপনি যদি নির্লিপ্ত এবং স্বার্থপর প্রকৃতির মানুষ হন তবে সমসাময়িক পরিস্থিতিতে আপনাকে অনিদ্রা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অম্লজনিত রোগ অর্থাৎ আমাশায় আক্রান্ত করে ফেলবে। আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে পড়বে। ছেলে সন্তান-স্ত্রী, বাবা-মা, ভাইবোন সবাইকে আপনি শত্রু ভাবতে শুরু করবেন। আপনার মধ্যে বদহজম, চুলে খুশকির উপদ্রব এবং শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় খুজলির প্রকোপ দেখা দেবে। রাজ্যের ক্লান্তি আপনার কথা ও কাজে প্রকাশ পাবে। চলতে ফিরতে আপনি বড় বড় হাই তুলবেন এবং মুখের দুর্গন্ধে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাবেন। দুশ্চিন্তায় আপনার শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হবে এবং ঘামজনিত বিভিন্ন রোগ দ্বারা আক্রান্তের পাশাপাশি বাতাসকে দুর্গন্ধময় করে তোলার অন্যসব প্রাকৃতিক বিষয়াদি আপনাকে অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরবে।
আপনি যদি ভাবুক, বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তমনা প্রকৃতির লোক হন তবে চলমান সময়ে কী বললে কী করলে এবং কী ধরলে সবকুল রক্ষা হবে এমন চিন্তায় আপনার মাড়ির যন্ত্রণা শুরু হয়ে যাবে। আপনার লোভ যদি প্রবল হয় চরিত্র যদি হয় সুবিধাবাদীর এবং মন যদি হয় ভীরু তবে আপনার জিহ্বা ও ঠোঁটের যন্ত্রণা শুরু হয়ে যাবে। জিহ্বা চাইবে চাটতে, ঠোঁট চাইবে চটর বটর করে দালালীর শব্দমালা আওড়াতে এবং মাথা চাইবে ক্ষমতার কাছে নতজানু হতে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে আগের মতো প্রকাশ্যে ওসব করতে আপনার ভীরু মন সায় দেবে না। অথচ ক্ষমতার মধু-মেওয়ার রূপ রস গন্ধ এবং স্বাদের লোভে আপনার পঞ্চ ইন্দ্রিয় আপনাকে ক্ষণে ক্ষণে উত্তেজিত করবে। ফলে পঞ্চ ইন্দ্রিয়জাত বিশেষ অঙ্গগুলো অ্যাটেনশন- আরামে দাঁড়াও এবং লেফট-রাইট করতে করতে একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়বে।
আপনি যদি একজন সাধারণ মানুষ হন তবে খাদ্য ও নিরাপত্তার চিন্তা আপনাকে অস্থির করে তুলবে এবং বেঁচে থাকাটাই আপনার জন্য একমাত্র সমস্যা বলে মনে হবে এবং আপনার খাদ্য কেড়ে নেওয়া শক্তিশালী অর্থ দানব, অর্থপাচারকারী, ডাকাত ও দুর্নীতিবাজরা মনে হবে- বাংলাদেশের এক নম্বর সমস্যা। আপনি যদি ক্ষমতাধর শ্রেণীর মধু খাওয়ার দল হন তাহলে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণ ও বাকশক্তির পাশাপাশি তাদের সুস্থ শরীর, সুস্থ মন, বিবেক ও বুদ্ধিমত্তাকে বাংলাদেশের এক নম্বর জাতীয় সমস্যা বলে মনে হবে। এবং আপনি যদি একজন নির্যাতিত সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হন, তবে কারো কারো দীর্ঘায়ু সুস্থ সবল দেহ এবং বেঁচে থাকাটাই মনে হবে এক নম্বর জাতীয় সমস্যা।
লেখক হলেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি