আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ঢাকায় শোভাযাত্রা করে ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি।
দলের মহাসমাবেশ ভেস্তে যাওয়ার একদিন পর ২৯ অক্টোবর থেকে তালাবন্ধ থাকা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকেও ওইদিন মিছিল বের করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আত্মগোপনে থাকা দলের নেতারা মিছিলে যোগ দেবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু গতকাল রাতে বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও বিজয় দিবসের মিছিল বের করা হবে।’
গতকাল রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, তারা অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দেবেন। তিনি আরও বলেন, অনুমতি পেলে সর্বস্তরের মানুষ সমাবেশে যোগ দেবেন।
১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সারাদেশে মানববন্ধন করেছে বিএনপি। মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলের মধ্যম সারির বেশ কয়েকজন নেতা অংশ নিলেও সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতি ছিল কম।
ওইদিন রাজধানীতে মানববন্ধন চলাকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভও করেন বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয় দিবসে কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক ‘বিজয় মিছিল’ বের করার ঘোষণায় বিএনপি ১৬ ডিসেম্বর শোভাযাত্রা করার পরিকল্পনা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, শোভাযাত্রায় ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশে অংশ নেবেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। ওই দিন থেকেই বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী পর্ব শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি একটি বিশাল সমাবেশ করতে পারি, তাহলে তা চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে দেবে।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে প্রায় দেড় মাস ধরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল ও দেশব্যাপী অবরোধ এখন অকার্যকর হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। এরপরও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায় দলটি।
আগামীকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করবে বিএনপি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মসূচি সফল হলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর সারাদেশে নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে পারে বিএনপি।