বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, আর এই নির্বাচন পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে সংলাপে বসছেন রাস্ট্রপতি। সংলাপের অংশ হিসেবে সর্বপ্রথম জাতীয় পার্টি রাস্ট্রপতির সাথে আলোচনা করে কয়েকটি প্রস্তাব রাখেন। তবে দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি সংলাপের বিষয়টিকে ভেল্কিবাজি হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে আ.লীগের তরফ থেকে বলা হচ্ছে বিএনপি রাস্ট্রপতির সাথে সংলাপে বসতে না চাইলেও পরবর্তীতে সংলাপে বসতে পারে।
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মুখে যেটা এবং যাই বলুক না কেন, শেষ পর্যন্ত ইসি গঠনে চলমান রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা শেখ মুজিব প্রামাণ্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সংহত করার জন্যই রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ। শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যেই এ সংলাপ। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো এবং আশা করবো, তারা নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করবে। সবকিছুতে ‘না’ বলার রাজনীতি থেকে সরে আসবে এবং চলমান সংলাপে অংশ নেবে। নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপিসহ সবাইকে স্বাগত জানানো উচিত বলেও জানান হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গতবারও (একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে) রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেটি যে সঠিকভাবে গঠিত হয়েছিল তার প্রমাণ হচ্ছে মাহবুব তালুকদার। যিনি নির্বাচন কমিশনের অনেক বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। অনেকে বলেন, তিনি বিএনপি বা বিরোধীদের পক্ষে কথা বলেন। উনিও সংলাপের মাধ্যমেই কমিশনার হিসেবে স্থান পেয়েছেন। এটিতেই প্রমাণিত হয় সংলাপ কার্যকর। এবারও রাষ্ট্রপতি সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যাচ্ছেন, সংলাপ শুরুও করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সংহত করতেই এটি করা হচ্ছে।
বিএনপি সংলাপে অংশ নেবে কিনা এমন বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে আরো এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাস্ট্রপতির সাথে আলোচনায় সকল রাজনৈতিক দলের অংশ নেওয়া উচিৎ, সেখানে বিএনপিরও আসা উচিৎ। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা নিয়ে কোনো ধরনের সংলাপ করে না সেখানকার রাস্ট্রপতি। বিশ্বের অনেক গনতান্ত্রিক দেশে যেখানে অনেক বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচন হচ্ছে সেখানেও নির্বাচন কমিশন গঠন করা নিয়ে কোনো ধরনের সংলাপ হয় না। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে সংলাপ চলছে সেটাকে বিএনপির স্বাগত জানিয়ে অংশ নেওয়া উচিৎ।