রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর করিম ভূইয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তার মৃত্যুতে গোটা পরিবার-পরিজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া।
তবে এদিকে বিএনপি এই নেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীবসহ বেশকিছু নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্টও দেন তিনি। সেখানে রাজীবের আপলোডকৃত ছবিতে আরো আওয়ামীলীগ নেতাদেরও দেখা যায়।
তারা হলেন, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিন, শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এর আগে, রবিবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিএনপি নেতার মৃত্যুর খবরে আওয়ামী নেতাদের এমনভাবে ছুটে যাওয়ার ব্যাপারটিকে সৌহার্দ্যমূলক ও ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আমজাদ হোসেন বলেন, তার মৃত্যুতে তাকে দেখতে যাওয়া, তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো মানবিকতার অংশ। রাজনৈতিক মতাদর্শে ভিন্নতা থাকলেও রাজনীতির মাঠে তো আমরা সহকর্মী। এটা আসলে রাজনীতি বা সামাজিকতার একটা অংশ।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ বলেন, একটা মানুষের মৃত্যু সবকিছুর উর্ধ্বে। তিনি একজন রাজনৈতিক বর্ষীয়ান নেতা। আমরাও তো রাজনৈতিক নেতা। তার মৃত্যুতে আমরা সহমর্মীতা জানিয়েছি। আমরা তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।
এছাড়া বিএনপির এই গুণী নেতার মৃত্যুর খবরে গভির শোক প্রকাশ করে পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীরা। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারা। অন্যদিকে দলকে এগিয়ে নেয়ার পেছনে তার অবদান কখনও ভোলার নয় বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।