বন্যার্তদের দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে শিক্ষার্থীদের নেওয়া ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ লুটের অভিযোগে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় কবিরহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত রহমান হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা বিএনপির সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক উপরোক্ত বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একরামকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলা আহবায়ক মো. কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন ও সদস্য সচিব মোঃ কামাল হোসেন সৌরভ এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন।
বিবৃতির অনুলিপি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকালে সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে ওই ত্রাণ লুটের ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীদের ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ লুট করে নেন ওই নেতা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে লুট হওয়া ত্রাণ উদ্ধার করে ছাত্রদের ফিরিয়ে দেন। এসময় হামলাকারী মো. সৌরভ (১৮) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। আটক সৌরভ সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহের হোসেনের ছেলে। হামলায় মো. মাঈন উদ্দিন আকাশ (১৬) ও নিহাদ (১৬) নামে দুই শিক্ষার্থী আহতও হয়েছেন।
অভিযুক্ত এই বিএনপি নেতা মো. একরাম সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও কালামুন্সি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। তিনি নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও তার স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলির আজ্ঞাবহ হিসেবে গত ১৫ বছর এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা করে চলতেন।
এ ছাড়া বিএনপির একরাম কালামুন্সি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পদও আওয়ামী লীগের শিউলি একরামের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। এমনকি নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকেও ভয় দেখাতেন। ৫ আগস্টের পর বিএনপির হয়ে এলাকায় নিজের লোকজন দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছেন একরাম।