মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ-বিষয়ক সম্পাদক কাইয়ুমকে দেশে ফেরত না পাঠানোর দাবি জানিয়েছে দেশটির মানবাধিকার সংগঠন সুয়ারা রাকায়াত মালয়েশিয়া (সুরাম)।
মানবাধিকার সংস্থা সুরামের আইনজীবী অ্যান্ড্রু হু বলেন, এম এ কাইয়ুম মালয়েশিয়ায় জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর শরণার্থী কার্ডধারী।আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অভিবাসন বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান হু। একই সঙ্গে কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই আইনজীবী।
তিনি আরও বলেন, এম এ কাইয়ুম দেশীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার এবং এই সময়ে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে কাইয়ুমকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে তা হবে ব্যাপক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং একটি অমানবিক কাজ।
মানবাধিকার গোষ্ঠীর পরিচালক সেভান ডোরাইসামি অভিবাসন বিভাগকে বলেছেন, এম এ কাইয়ুমের নির্বাসন স্থগিত করার বিষয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা উচিত।
সুরামের নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, বিভাগটিকে অবশ্যই কাইয়ুমকে নির্বাসনের যেকোনো পরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে।
বুধবার দেশটির জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সুরম এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি কাইয়ুমকে অভিবাসন বিভাগের গোয়েন্দা সংস্থার পুলিশ আটকের পর আদালতে সোপর্দ করে।
গ্রেফতারের পর দেশটির আদালত তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অভিবাসন বিভাগের যাবতীয় প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে ১৮ জানুয়ারি। একই সঙ্গে তাকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন আদালত। আদেশ উপেক্ষা করে ছয় দিন পর কাইয়ুমকে দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে অভিবাসন বিভাগ।
বাংলাদেশে জাপানের এক ত্রাণকর্মী সিজার তাভেল্লাকে হ”/ত্যার পেছনে কাইয়ুমই মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে কাইয়ুমের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।