ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে বলে দাবি বিএনপির। কারন বিগত দুটি সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে বিতর্ক রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিরোধী দল বিএনপি এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংগ্রহন করবে না বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাদের দাবি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহন নিয়ে যা বললেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি সবসময় জল ঘোলা করে খাবে। তারা নিজেরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবেন। সেটাও হয়তো শেষ বেলায়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি আগেও বলেছি শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরাও চাই বিএনপি আসুক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। আমরা চাই না বিএনপির মতো বড় দল নির্বাচনের বাইরে থাকুক। ‘
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দল হিসেবে আমরা বলতে যাচ্ছি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। খেয়াল করে দেখেন, আওয়ামী লীগের এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেখেন একটা কথা সবাই বলে, সরকারের অধীনে নির্বাচন। আমি অবাক হয়ে শুনি, ফখরুল সাহেবও বলেন এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। ইলেকশন তো এ সরকারের অধীনে হবে না। “নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। একটি বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।”
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কী করবেন তা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত। তিনি হয়তো প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে করে থাকেন। এটা নিয়ম হতে পারে, তাই আমার কোন এখতিয়ার নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছে। আমরা সেখানে আসব। আর এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট ও জোরে। আমরা গতবার যেভাবে বলেছিলাম, একই দাবির পুনরাবৃত্তি করছি। আমরা চাই, এই প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করা হোক। ইভিএমের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার এবং স্পষ্ট। আমি আন্তরিকভাবে চাইছি ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট হোক। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা সমর্থন করি।”
তিনি আরও বলেন, ‘যে রাজনৈতিক দলগুলো আজ এখানে এসেছে। আমার মনে হয় বেশিরভাগই ইভিএমের পক্ষে কথা বলেছেন। আজ অনেকগুলো দল এসেছে। আমরা সব শুনেছি. দু-একজন ইভিএমের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। এটাই গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বিরুদ্ধে তো বলবেনই। ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেটা কোনো সমস্যা না. ‘
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হয় বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার সেটাই অনুসরণ করবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন সরকারের অধীনে নয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে এতে সরকার সহযোগিতা করবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন নির্বাচনকালীন সরকার হবে অন্যান্য গনতান্ত্রিক দেশের যে ভাবে গঠিত হয়।