আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে সমাবেশ কোথায় হবে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করেনি দলটির পক্ষ থেকে। এ নিয়ে পুলিশ এবং দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। তবে বিকল্প ভেন্যুতে সমাবেশ হবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি দলটির নেতারা। এদিকে বিকল্প পছন্দনীয় ভেন্যু না দিলে পল্টনে সমাবেশ করবে বলে অনড় রয়েছে বিএনপি।
বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার যদি পছন্দ অনুযায়ী বিকল্প ভেন্যু না দেয়, তাহলে বিএনপি ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই গণসমাবেশ করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সড়কে মিছিল করলে মানুষের দুর্ভোগ হয়; কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কটি ২০ বছর ধরে বন্ধ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কটিও বন্ধ রয়েছে। এতে কি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় না?
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে রয়েছে। আমাদের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে। নয়াপল্টনে সমাবেশের কথা বলেছি। এখন বিকল্প প্রস্তাব দিতে হলে সরকারকে দিতে হবে। সরকারকে গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব দিতে হবে।
নয়াপল্টনে পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দিলে কী হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। নয়াপল্টনেই সমাবেশ করব। তবে আমরা চাই পুলিশ যেন দলীয় ভূমিকা পালন না করে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সমাবেশে গুলিস্তান কার্যালয়ের সামনের রাস্তা বন্ধ থাকে। কয়েকদিন আগে বাড্ডা ও উত্তরায় হাউজ বিল্ডিংয়ের সামনের সড়কে পথসভা করেছে। আওয়ামী লীগ সমাবেশ করলে রাজধানীর পুলিশ জনগণের চলাচলের রোডম্যাপ দেয়। পুলিশও আমাদের সমাবেশে এমন একটি রোডম্যাপ দিয়ে দিবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলেরর স্থায়ী কমিটির আরেক অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেছেন, আমরা ঢাকায় যে সমাবেশ করতে যাচ্ছি এবং অন্যান্য যে কর্মসূচি পালন করা হবে সেটা অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবেই হবে। তবে এই গণসমাবেশে কোন ধরনের অঘটন ঘটলে দায় সরকারের। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যদি সেখানে কোনো রিকশার টায়ার ফাঁটে তবে সে দায় নেতাদের না সরকারের।