Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিএনপি নতুন কায়দায় আনন্দোলন জমাতে পাঁয়তারা করেছে কাদের

বিএনপি নতুন কায়দায় আনন্দোলন জমাতে পাঁয়তারা করেছে কাদের

নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে সরব হলেও রাজনীতিতে এখন সুবাতাস বয়তে দেখা যাচ্ছে না। কারন নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধী অবস্থান নিয়েছে প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরী করেছে অপর দিকে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাহিরে থেকে বিএনপি সাংগঠিক ভাবে দুর্বল হলেও তার ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। তবে রাজ পথে দখল নিয়ে দুটি দল সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে যে দেশেকে অস্থিতিশীল পরিস্থির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিএনপি লা/শ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায় বলে মন্তব্য করে যা বললেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে রাজপথ ইজারা দেয়নি। বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমানোর অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, সংযমী হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।

আজ শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও অর্জন চাইলে শেখ হাসিনার মতো সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তিনি বিশ্বে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছেন।

কাদের বলেন, বিএনপি নতুন ষ/ড়যন্ত্র শুরু করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার বলছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার বলেন, বিদায়ের সাইরেন নাকি বাজচে। এই সাইরেন ১৪ বছর ধরে ফখরুলে কানে বাজে, জনগণের কানে বাজে না।

দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। নেতৃত্ব দিতে হলে শৃঙ্খলা শিখতে হবে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং সকল কর্মী। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় ধারণ করতে পারলে সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হবে, ঐক্যবদ্ধ ও আধুনিক স্মার্ট দল হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা জাতিসংঘে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছেন। আমরা শুনেছি তিনি কিভাবে পিতার মতো বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জাতিসংঘে ইতিবাচক বস্তুনিষ্ঠ, মানবতাবাদী বক্তৃতা দিয়েছেন। যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, শান্তির আহবান জানিয়েছেন। তার বক্তৃতা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।

কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হ/ত্যার পর জয় বাংলার স্লোগানকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল, স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়। তারপর ৬টি বছর আমরা অমানিসার অন্ধকারে ছিলাম। দল কলহ-কোন্দলে জর্জরিত ছিলো। দুঃখিনী বাংলায় পিতার র/ক্তভেজা মাঠিতে অন্ধকারে আলোকবর্তিকা হয়ে শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন। সুনামগঞ্জ থেকে সন্দরবন ঘুরে ঘুরে দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।

শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে কি কেউ যু/দ্ধাপরাধীদের বিচার করার সাহস পেত না? বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যার বিচার কি হতো? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করেছিলেন। দলের কর্মীদের খোঁজখবর রাখার জন্য দলের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, পকেট কমিটি করা চলবে না। দুঃসময়ে নিবেদিত কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সদস্য সফুরা বেগম রুমি। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম হিরু।

প্রসঙ্গত, বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কিন্তু সে সুযোগ আওয়ামীলীগ আর দেবে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুর কাদের। তিনি আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে করলে শক্ত হাতে দমন করা হবে।

About Babu

Check Also

থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে উল্টো কট ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *