সম্প্রতি হঠাৎ করেই খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। মঞ্জুকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় এমন অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে খুলনার প্রায় হাজারের মত নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছে। অবশ্যে মঞ্জুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নেতাকর্মীরা এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানাগেল বিস্তারিত।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে খুলনা বিএনপিতে এখনো পদত্যাগ চলছে। সবশেষ বুধবার খুলনায় দলটি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের আরও ৩৯৫ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে খালিশপুর থানা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের ৩৫০ নেতাকর্মী, মহানগর ও পাঁচ থানা মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মী রয়েছেন ৪৫ জন। এর আগে গত শনিবার নগর বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ প্রায় ২০জন নেতাকর্মীর পদত্যাগের মধ্যদিয়ে শুরু হয় পদত্যাগের ধারাবাহিকতা। যা পরদিন রবিবার গণপদত্যাগে গিয়ে ঠেকে। সেদিন নগর বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেন। এদিকে বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো খালিশপুর থানা বিএনপি, মহানগর ও পাঁচ থানা মৎস্যজীবী দলের পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে আরও ৩৯৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগের তথ্য জানানো হয়েছে। খালিশপুর থানা বিএনপির সভাপতি ফজলে হালিম লিটন ও মহানগর মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক সায়মুন ইসলাম রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে পদত্যাগ করা নেতাকর্মীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পদত্যাগকারী নেতারা উল্লেখ করেন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু ৪৪ বছরের একজন পরীক্ষিত নেতা। তিনি বিপদে-আপদে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। তাকে অবমূল্যায়নের কারণে খালিশপুর থানা বিএনপি ও এর আওতাধীন ৯ ওয়ার্ডের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৩৫০ নেতাকর্মী পদত্যাগ করলাম। একই সঙ্গে আমরা নগরের আহ্বায়ক কমিটির সকল কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত রাখলাম। খালিশপুর থানা বিএনপির সভাপতি ফজলে হালিম লিটন বলেন, আমাদের বিভিন্ন ইউনিটের ৩৫০ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। মহানগর মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক সায়মুন ইসলাম রাজ্জাক বলেন, নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে আমিসহ মহানগর মৎস্যজীবী দলের ৪৫ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছি।
এমনিতেই দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপি দল নানা ভাবে সংকটময় পরিস্তিতির মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে। এরই মধ্যে খুলনায় অসংখ্য নেতাকর্মীদের পদত্যাগে বিএনপি দলে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা এখনও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।