দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে একরামুজ্জামান বলেন, এটা স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে এভাবে বহিষ্কার করে, আগেও সবাই করেছে।
এটা অস্বাভাবিক নয়। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি নিজের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে যোগ দিয়েছি। হয়তো দলের সিদ্ধান্ত ভিন্ন ছিল। মাঝে মাঝে মানুষ একা হাঁটে।
কোনো কারণে নির্বাচন বর্জন করা আমার জন্য বা আমার নির্বাচনী এলাকার জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে আমার মনে হয়েছে, সে কারণেই আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমার দল বিএনপি এটা এড়াতে পারত। বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে, আমি বিএনপি থেকে বের হইনি।’
নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো ধরনের চাপ ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে চাপ বলব না, তবে আমাকে বিভিন্ন সরকারি মাধ্যম থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আপনারা যারা এলাকায় জনপ্রিয় ব্যক্তি আছেন আপনারা নির্বাচনে আসেন, আসলে পরে এটা প্রমাণ হবে। দেখি কী প্রমাণ হয়।’
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামানকে।
২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন একরামুজ্জামান। তবে এর আগেই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০০১ সালে, তিনি ‘কুলা’ ব্র্যান্ডের সাথে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একরামুজ্জামানকেই ভাবছেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।