নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনী প্রচারনায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা ও তাদের সমর্থক নেতাকর্মীরা। নির্বাচনে প্রধান দুই হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি’র নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। তবে এই নির্বাচনে আর একটি আলোচিত নাম হলো শামীম ওসমান। শামীম এবং আইভী দুজনেই আ.লীগের নেতা হলেও তাদের মধ্যে বেশ দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। সেখানকার স্থানীয় রাজনীতিবিদদের অনেকে মনে করেন শামীম ওসমান এই নির্বাচনী রাজনীতিতে সরাসরি না আসলেও তিনি অনেকটা ছায়া সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী শামীম ওসমান সম্পর্কে বলেছেন, শামীম ওসমানের সঙ্গে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। আমিও আওয়ামী লীগ করি উনিও আওয়ামী লীগ করেন। স্থানীয় অনেক কিছু নিয়ে দ্বিমত থাকলেও আদর্শের দ্বিমত নেই। তিনি একজন সংসদ সদস্য, তিনি ভোট চাইতে আসতে পারবেন না।
যারা আসল আওয়ামী লীগ তারা সবাই মাঠে। তারা কারও বলার অপেক্ষায় থাকে না।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, প্রতিপক্ষ বিভিন্ন কথা বলবেই। আমি কী কাজ করেছি, কী করিনি সেটা উনিও যখন যে ওয়ার্ডে যাচ্ছে বুঝতে পারছেন। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তা বলতে পারছেন না। অথবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিনি বলছেন না। আমি আবারও বলি, উন্নয়ন লোক দেখানো হলে তার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এমন কোনো রাস্তা দেখাক যে রাস্তায় ড্রেন হয়নি। তিনি যদি বলেন, আমি কাজ করিনি, তাহলে তার ভাই খোরশেদ কাউন্সিলর নিজেই ব্যর্থ। কারণ তাকে আমি প্রায় দেড়শ কোটি টাকার মতো কাজ দিয়েছি। প্রতিটা ওয়ার্ডে কাজ হয়েছে। উনি কেন দেখেন না তা আমি জানি না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটা বিশাল দল। আওয়ামী লীগের মাথা ব্যথা না যে বিএনপি তার সঙ্গে আছে কী নেই, সেটা খোঁজ নেন। আমার নেতাকর্মীরা মাঠে ব্যস্ত ভোট চাইতে। কারণ আমরা ভোটে বিশ্বাসী, আমার লক্ষ্য ভোটার। কে কী প্রচার করলো সেটা আমার দেখার বিষয় না। আওয়ামী লীগের তৃণমূল সবসময় আমার সঙ্গে ছিল, এবারও আছে। নেতৃস্থানীয় সব নেতারা আমার সঙ্গে। মুক্তিযোদ্ধারাও সবসময় আমার পাশে ছিলেন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শামীম ওসমান তেমন সক্রিয় নন, কারণ একজন সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি নির্বাচনে কোনো পক্ষকে সমর্থন করতে পারবেন না। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন শামীম ওসমান ভেতরে ভেতরে সাবেক মেয়র আইভীর প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করছেন, এবং তৈমুরকে অনেকটা অন্তরালে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখন দেখার বিষয় এই হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর মধ্যে কে জয়ী হন।