আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “নির্বাচনের সময় আপনারা দেখেছেন যে স/হিংসতার কথা বলছেন তা প্রায় নেই বললেই চলে। যে কোনো দেশে দলের কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। সেখানেও তাই হয়েছে।” এমন কোন বড় ঘটনা ঘটেনি যা কেউ বিশ্বাস করবে যে বড় ধরনের স/হিংসতা হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন
আইনমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কারণে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের জেলে যেতে হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় এবং মামলা চলমান থাকায় তাদের কারাগারে যেতে হয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসায় সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর নি/র্যাতনের মামলা এবং ২০১৩ সালে অ/গ্নিসংযোগের মামলাগুলোর বিচার এখন শেষ হচ্ছে।
আইনে সরকারের কোনো হাত নেই বলে মন্তব্য করেছেন আদালত
মন্ত্রী বলেন, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এর কারণ হলো, বিশ্বব্যাপি ছুড়িয়ে পড়া রোগের সময় বিশ্বজুড়ে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ে সেখানে বিচার ব্যবস্থায়ও স্থবিরতা দেখা দেয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ভার্চুয়াল আদালত বসিয়ে বিচারের গতি ত্বরান্বিত করি এবং সেই ব্যবস্থাও করি। কারাগারে কোনো জটিলতা নেই। অনেক মামলা সম্পন্ন করেছি দ্বিতীয়ত- আমরা অনেক আইন করেছি বিশেষ করে এভিডেন্স অ্যাক্ট জনগণ চেয়েছে এভিডেন্স অ্যাক্টের সংশোধনী নারীর মর্যাদা এই আইনের বিষয় ছিল আমি মনে করি সাক্ষ্য আইনের এই সংশোধন একটি বড় পদক্ষেপ আমি আরও অনেক আইন করেছি।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত আইনের ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। আইন মন্ত্রনালয়ের উভয় বিভাগই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেছে, এটি একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, আমি মনে করি যদি আমরা এইভাবে কাজ করি, যা আমাদের অগ্রাধিকার, বিশেষ করে মামলার এই বিষয়টি দীর্ঘ সময় ধরে মামলার কারণে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আমাদের চিন্তা করতে হয়েছে। আমি মনে করি আমরা সঠিক পথে এগুচ্ছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার হ/ত্যাকাণ্ডে যারা দেশের বাইরে রয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় সফলতা আনাই দেশবাসীর কাছে আমাদের অঙ্গীকার।