বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেও প্রতিদান হিসেবে দলের লোকজনের কাছ থেকে লজ্জা-অপমান ছাড়া আর কিছুই পাননি ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন। আর এরই ধারাবাহিকতার মধ্যে দিয়ে অনেক কষ্ট নিয়ে অবশেষে ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে এ ঘোষণা দেন। পরে ঢাকা পোস্টকেও বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেশকাত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লেখেন, যেই সংগঠন করে জীবনের সবটুকু সময় ব্যয় করেছি কিন্তু হতাশা, মানসিক যন্ত্রণা আমাকে ধুঁকে ধুঁকে শেষ করে দিচ্ছে। যদি বিএনপি জামায়াতের কোনো লোক হতো তাহলে তাকে প্রতিহত করার ক্ষমতা আমি রাখি। কিন্তু যখন নিজ দলের লোক কষ্ট দেয় তখন কষ্টের আর শেষ থাকে না। আজ শুধু নিজেকেই শেষ করিনি, পরিবারের সবাইকে ঠকিয়েছি। খুব অভিমান থেকেই বলছি বিদায় ছাত্রলীগ।
তিনি আরও লেখেন, যদি বেঁচে থাকি বাকি জীবনটা পার্টির জন্য ব্যয় করে যাব। আর পার্টির দুঃসময় যদি আমাকে প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাশে থেকে রাজপথে লড়ব। ভালো থাকবেন সবাই।
জানতে চাইলে হোসাইন বলেন, “যে দলের জন্য আমি এত ত্যাগ স্বীকার করেছি, সেই দলের সভাপতির মুখ থেকে যদি জামায়াত-শিবির ব্লেম খাওয়া লাগে, সেটা বেদনাদায়ক। কাদের নিয়ে আমরা ছাত্রলীগ করব, যারা আমাদের জামায়াত-শিবির, বিএনপি বলে। তারা হাজারো অনিয়ম করবে, কিছু বললে বলে ওরা জামাত-শিবিরের দালাল, এদের দিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।
পদত্যাগপত্র জমা দেবেন কি দেবেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কিছু নেই, তারা নিজেরাই মেয়াদ উত্তীর্ণ। তারা আমাকে পদও দেয়নি, শোভন-রব্বানী ভাই দিয়েছেন। আমি দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। যদি পার্টির প্রয়োজন হয় আমি অবশ্য মাঠে থাকব।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেশকাত হোসেনেই ওই স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়ার পরপরই গোটা এলাকাজুড়ে বইছে ব্যাপক শোরগোল। জীবনভর ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেও দল থেকে কষ্ট দুঃখ ছাড়া কিছুই না পাওয়ার বিষয়ে অবাক হয়েছেন যেন সকলেই।