বিএনপি-জামায়াত ও সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় যুবলীগই যথেষ্ট বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি যুবলীগ হবে ১০০-২০০ কর্মী। যুবলীগ যেখানেই যায়, শয়তানসুদ্ধা পলাইয়া যায়।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এ সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের কারণে সভাস্থলে কোনো শয়তান নেই। এ সময় তিনি বলেন, ‘এখানে কি শয়তান আছে?’ তখন অডিটোরিয়ামে উপস্থিত যুবলীগ নেতা-কর্মীরা জবাব দেন, ‘না।’ তারপর বললেন, ‘কোথায় গেছে, খবর নেই।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘‘এরা কারে ভয় দেখায়? এগো কি কোনো আক্কলটাক্কল নাই? শরমও নাই, লজ্জাও নাই। এই যুবলীগ বিচ্ছুদের পরশ (যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরিষদ) ও নিখিল (যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান) পদত্যাগ করলে আগোর (বিএনপি) খবর থাকবে কি? এখন তো ছাড়িই না রাস্তায় মানুষ। খালি এখন বুকডাউন দেন। আমি আপনাদের প্রস্তুত হতে বলছি না?
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বিএনপির দেওয়া এক দফার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘ওরা ১৫ বছর ধরে একই কথা বলে আসছে। উটখট উটখত… এদেশের মানুষ কিছু বলে না। মানুষ কথা বলে না। খালি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে খতম করে ক্ষমতায় আসতে হবে! ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সর্বশেষ গ্রেনেড হামলায় নেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। আইভি আপাসহ ২২ জন শহীদ হয়েছেন। আল্লাহর রহমতে আল্লাহ নিজেই ফেরেশতা পাঠিয়ে নেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করছেন। তা না হলে সেদিন তিনি বাঁচতেন না। এখন আবার একই কথা।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পার্শ্বের সভাপতিত্বে আলোচনা সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ স ম মাকসুদ কামাল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন, উত্তর সাধারণ সম্পাদক মো: ইসমাইল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দক্ষিণ এইচ এম রেজাউল করিম প্রমুখ। .