আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং সমমনা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল অনেক আগেই। এরপর বিএনপির বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশের মাধ্যমে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশজুড়ে গনমিছিল ও সমাবেশ করছে বিএনপি।
একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ রাজধানীতে গণমিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করেছে দলগুলো।
দুপুরের আগে সমাবেশ ও গণমছিল করেছে সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। এতে মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। তবে এই জোটের প্রধান তিন নেতার একজন জেএসডির সভাপতি আ স আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর অংশ নেননি। তবে এতে অংশ নিয়েছেন তাদের দলের সিনিয়র নেতারা।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
গণতন্ত্র ফোরামের সমন্বয়ক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অসুস্থতার কারণে সমাবেশে অংশ নিতে পারবেন না বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আর জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর দেশের বাইরে থাকায় সমাবেশে অংশ নিতে পারেননি।
গণতন্ত্র ফোরামের পক্ষ থেকে ১১ জানুয়ারি রাজধানীতে গণবিক্ষোভের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু আজ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চ বের করা হয়। মিছিলটি পুরানা পল্টন, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্য শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
তবে গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপির শীর্ষ নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাস গ্রেফতার হওয়ার পর কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে বিএনপির আন্দোলনের গতি, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেফতার হওয়ার পর অন্য নেতারা এককথায় দলে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না আশাঅনুরূপভাবে। তবে এখন দেখার বিষয় সামনে কি হয়।