জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর প্রায় বছরখানেক বাকি। আর এখন থেকেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনকে ঘিরে তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নানাভাবে সতর্ক করছে। এবার নির্বাচনে আ’লীগ পরাজিত হলে তাদের পরিণতি কী হবে সে বিষয়ে আগাম সতর্ক বার্তা দিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে চায়, পাকিস্তান বানাতে চায়, বো”মা হাম’/লা, গ্রে”/নেড হা”মলা চালাতে চায় তাদের হাতে আমরা দেশকে তুলে দিতে পারি না। এ জন্য দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে বোঝাতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে নাটোরের গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়েছে।
এ অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে দিনরাত ষ”ড়যন্ত্র করছে বিএনপি। এক বছর পর নির্বাচন হবে। আমরা দেশকে বিএনপির হাতে তুলে দিতে পারি না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে জনগণের পিঠ থেকে চামড়া তুলে নেবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রেহাই পাবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন, ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে তাদের পলা”তক নেতা তারেকের নামে জাতীয় সরকার হবে। তার মানে হাওয়া ভবনের চোরের নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে চায় বিএনপি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য ডা. এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ মোল্লা। সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে বর্তমান সভাপতি আনিসুর রহমানকে সভাপতি ও আবদুল মতিনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিহিংসা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার বেশি হয়ে থাকে, যেটা জনগনের কল্যানের বদলে অকল্যান বেশি হয়ে থাকে। বিশ্বের খুব কম সংখ্যক দেশে এমন ধরনের নীতিবিবর্জিত রাজনীতি হয়ে থাকে।