গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের পর থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে। এরপর মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) পর্যন্ত সিআইডি কার্যালয়টিকে অপরাধ স্থল হিসেবে ঘেরাও করে রাখে। বুধবার (১ নভেম্বর) সেখান থেকে ক্রাইম সিন কর্ডন সরিয়ে নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেখানে দলের কোনো নেতা আসেননি। এ কারণে অফিসের গেটে চেয়ারে কয়েকটি চিঠি পড়ে থাকলেও তা গ্রহণ করার কেউ নেই।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে বিএনপি কার্যালয়ের নিচে একটি চেয়ারে কয়েকটি চিঠি পড়ে থাকতে দেখা যায়। অফিসের গেটে ওইভাবে পড়ে থাকা চিঠিগুলো দেখে কৌতূহল জাগলো।
সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। কিন্তু কার্যালয়ের গেটে পড়ে থাকা চিঠির স্তূপে ইসির চিঠি আছে কি নেই তা নিশ্চিত করার মতো কোনো লোক সেখানে নেই। কেউ ইসি থেকে চিঠি রেখে গেছেন কি না তাও বলতে পারবেন না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো বার্তা নেই।
বিএনপি কার্যালয়ের গেটে পড়ে থাকা চিঠিগুলোর মধ্যে ইসির কোনো চিঠি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিস অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় কোনো চিঠি পাঠানো হলে তা হাস্যকর। কারণ অফিসে চিঠি নেওয়ার কেউ নেই।
এদিকে আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। এমনকি কেউ অফিসের সামনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ কারণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অনেক নেতাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপন করছেন।