বর্তমান সময়ে দেশের রাজনৈতিক বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দলের মধ্যে নীরব অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো বিএনপি। বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলো ক্ষমতাসীন দল আ.লীগ ক্ষমতায় গিয়েছে ভোট কারচুপির মাধ্যমে এমন দাবি তুলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নতুন নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে আসছে। তবে নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি রয়েছে, এটাকে সামনে রাখে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দল গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে বিএনপি ও তার সহযোগী দলগুলোর জোট ক্ষমতাসীন দল আ.লীগ দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরন করা হয়েছে এমন দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে শুরু করেছে। তবে আ.লীগ ভেতরে ভেতরে দেশে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্ট করা হচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে বেশ সতর্ক রয়েছে।
এরই প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জমা দিতে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে উত্তর আগ্রাবাদ ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
আ জ ম নাছির উদ্দীন নবনির্বাচিত ইউনিট নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপির জোট মরণছোবল দেবেই। এদের তালিকা তৈরি করে আমাদের দলীয় দফতরে জমা দিন। তা হলেই দেশ-জাতি এবং আমরা রক্ষা পাব।
আ জ ম নাছির আরও বলেন, দুই বছরের মাথায় জাতীয় নির্বাচন। এ উপলক্ষ সামনে রেখে ওয়ার্ড পর্যায়ে ইউনিট সম্মেলন হচ্ছে। এতে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসছে বলে বিশ্বাস করি। কারণ যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আনুষ্ঠানিক সম্মেলনের মাধ্যমে হয়েছেন।
তিনি বলেন, ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীতে নৌ-দুর্ঘটনা ও অ’গ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বিএনপি যে খেলায় নেমেছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কোনোভাবেই মানবিক নয়। তাদের কোনো রাজনৈতিক অধিকার নেই। দলটির উদ্ভাবন কোথায় এবং কীভাবে, এ বিষয়গুলো জনগণের কাছে দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে তুলে ধরতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শত্রু ও মিত্রকে চিহ্নিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার আর ক্ষমতায় একটি বছর আছে, এবং এই মেয়াদ পার হওয়ার পরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব তা না হলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে না এমনটি জানিয়েছে। এর জন্য আন্দোলনে যাওয়ার জন্য জনগনকে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে বিএনপি এবং তার শরীক দলগুলো। এটাকেই বিবেচনা করছে আ.লীগ, তারা মনে করছে দেশে কোনো ধরনের অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য কোনো পাঁয়তারা চালাতে পারে।