তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে দলের শীর্ষ নেতা হয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি এই পদে নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই দলের মধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়।
তৃণমূল বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর তৈমুর আলমকে যুগান্তর প্রশ্ন করেছিল, দল (বিএনপি) আপনাকে আবার ডাকলে আপনি কী করবেন?
জবাবে তৈমুর বলেন, দলে ফেরার সুযোগ নেই। তবে ১৪ দলের সঙ্গে জোট হতে পারে, সেটাই তৃণমূল বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। জোটের রাস্তা তো যখন-তখন ভাঙে।
বিএনপি যদি আমাকে প্রয়োজনীয় মনে করত; গত ১৩ বছরে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হতো। তারা সমর্থন দেননি।
তিনি আরও বলেন, এখন বিএনপির জন্য খুব ভালো সময়। এই শুভ সময়ে আমার মতো স্ট্রম্যানের দরকার নেই।
এদিকে তৈমুর আলমের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান বিএনপিতে কেমন প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে অনেক নেতাই কথা বলেছেন।
এরই অংশ হিসেবে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, তৈমুর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করলে বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে না।
রুমিন ফারহানা বলেন, বিশেষ করে তৈমুর আলম স্যার শুধু রাজনীতিতে সিনিয়র নন, তিনি আমার কোর্টেও সিনিয়র। তিনি একজন সিনিয়র আইনজীবীও। জুনিয়র হিসেবে তিনি আমাদের যথেষ্ট ভালোবাসতেন। তাকে ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু বলার নেই।
কিন্তু ইতিহাস বলে একটা দল দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকলে অনেকেই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দল ত্যাগ করে বা ছেড়ে দেয়। বদরুদ্দোজার মতো চৌধুরীও দল ছেড়েছেন। কিন্তু এর পরিণতি কী?
রুমিন ফারহানা অতীতের উদাহরণ সামনে এনে বলেন, আমরা যদি দেখি, বি চৌধুরী, কর্নেল অলি, কে এম ওবায়দুর রহমান এর আগে দল ছেড়েছিলেন। এটা কি কখনো মূল দলের ক্ষতি করেছে? এতে বিএনপির কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যে কোনো দলের জন্যই আমার শুভকামনা রইলো। একইভাবে তৃণমূল বিএনপিরও শুভকামনা থাকবে। তবে হঠাৎ করে এমন উদ্যোগ নিয়ে বিএনপির কোনো ক্ষতি হতে পারে বলে আমি মনে করি না।