বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের প্রশ্ন, বানরের পিঠা ভাগের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কেন ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার করেছে? এই সময়ে বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে কেন ১১ জন কর্মীকে কারাগারে হত্যা করেছে?
বুধবার (৭ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আত্মত্যাগের মধ্যেই রয়েছে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর। কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মসূচিতে বিএনপি সহিংস শেখ হাসিনা সরকারের মোকাবিলা করছে। অন্যদিকে, ক্ষমতার লালসায় অন্ধ আওয়ামী লীগ একটি দানবীয় অপশক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ঘৃণ্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে।
গয়েশ্বর আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবার নির্মম নির্যাতন ও অবিচারের শিকার হয়েছে। দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের অসংখ্য প্রতিবেদনে তা লিপিবদ্ধ হয়েছে। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস না করার অজুহাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নামার অপরাধে নাগরিক জীবন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিএনপির ৫০ লাখ নেতা-কর্মী। আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মী পুলিশি নিপীড়ন ও বিচার বিভাগের অন্যায়ের শিকার হচ্ছেন।
গায়েবি মামলায় কোনো প্রমাণ ছাড়াই বিএনপিসহ সব সংগঠনের সব স্তরের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধ্য করা হচ্ছে হাতকড়া-ডান্ডবেড়ি পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। বাবা-মার জানাজায় অংশ নিতে।
তিনি আরও বলেন, ঘরে ঘরে ছাত্রলীগ-পুলিশের যৌথ অভিযান ও হামলা চলছে। লুটে নিচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্থাপনা-সম্পদ।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির প্রতি জনগণের যে সমর্থন এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের অনুধাবন, একটি অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে দেশের প্রায় সব আসনে ধানের শীষের কাছে নৌকার অবশ্যম্ভাবী পরাজয়ের পাশাপাশি, গোপালগঞ্জে খোদ শেখ হাসিনাও হেরে যেতে পারে। এই কারণে তাকে আরও বেশি জনবিদ্বেষী করে তুলেছে, বাড়িয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা।