আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত দেশের রাজনৈতিক মাঠ। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত অন্যদিকে বিএনপি ও সমমনা দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী মামলা-গ্রেফতার আত”ঙ্কে ঘরছাড়া।
এমন বাস্তবতায় গত দুবারের প্রশ্নবিদ্ধ জাতীয় নির্বাচনের রেশ কি টানতে হবে এবারও? ভোটের মাঠে ভোটারদের ভাবনা শোনা যাবে?
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সহিং”সতা ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার না করলে কি হরতালের দিন গাড়ি চলত? গণগ্রেফতার ছাড়া আমাদের কোনো গত্যন্তর ছিল না। যেটাই করা হয়েছে আমরা চিন্তাভাবনা করেই করেছি।
শনিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তবে কি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি? ড. রাজ্জাক বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। রাতারাতি সব নেতাকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়নি দলটি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে এলে নির্বাচন পেছানো হবে- নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের বারবার বলা হয়েছে। শুধু পিছিয়ে দেওয়া হয়নি, বলা হয়েছিল জেল থেকে সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের জেলে না দিলে দেশ পঙ্গু হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ সংবিধান সমুন্নত রেখে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর বলে দাবি করেন এই নেতা। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টার কমতি নেই।