সম্প্রতি রাজনিতিতে বিপুল আলোচনা তৈরি হয়েছে পররাষ্টমন্ত্রীর একটি বক্তব্য নিয়ে। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে এমন মন্তব্য করে বেশ বিতর্কিত হয়েছিলেন এবং তার সেই রেশ না কাটতেই আবারো বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। তার এই বক্তব্য নিয়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নানান লেখা লেখি করছে
আল্লাহর বিশেষ রহমত, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গুণ আর জনগণের ভালোবাসায় আওয়ামী লীগ সরকারে আছে ১২ বছর ধরে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি দয়া করে পদত্যাগ করেন। প্লিজ। আপনি আমাদের সব শ্রদ্ধা হারিয়েছেন। আপনি আমাদের ইগোতে বিরাট আঘাত করেছেন। খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান, এরশাদের সরকারের সময়ও ভারত বাংলাদেশের সাথে সকল সম্পর্ক রেখেছিল। জিয়াকে সার্ক এর জনক বানিয়েছিল কারা? বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ কারা প্রতিষ্ঠিত করেছিল? বঙ্গবন্ধু ওআইসি সম্মেলনে গেলে ভারত তার হাইকমিশনারকে কী নির্দেশ দিয়েছিল?
খন্দকার মোশতাক আর জিয়ার সরকারের সময় ভারত সব ধরনের সম্পর্কই রেখেছে। বাংলাদেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে, দেশের মানুষ যখন শেখ হাসিনাকে তাদের একমাত্র রাষ্ট্র নেতা হিসেবে মেনে নিয়ে টিকে থাকা আর উন্নয়নের কাজে ব্যস্ত তখন আপনার এ ধরনের মন্তব্য কী বার্তা দেয়? শেখ হাসিনা গণভবনে বলেছিলেন, ‘ভারতকে যা দিয়েছি ভারত সারাজীবন মনে রাখবে।’ আপনি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কথা বলেন ব্যক্তিত্বহীনের মতো। ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূমিকা কিংবা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, ভারতের বাঙালি মুসলমানদের বাংলাদেশি বলে বিজেপি শিবসেনার অপপ্রচার, আরএসএসের হিন্দু রাষ্ট্র স্থাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতি হুমকি, বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আপনি কথা বলতে পারতেন।
আপনি কীভাবে ভারতের সঙ্গে পানির হিস্যা, সীমান্তহত্যা, মাদক পাচার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বারগেইন করবেন? গঙ্গার পানি চুক্তি শেখ হাসিনা করেছেন। ছিটমহল বিনিময় শেখ হাসিনা করেছেন। ভারতকে মামলায় হারিয়ে সমুদ্রসীমা এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। অন্যদিকে বিএনপি এ দেশের জন্য ভারত থেকে কিছুই আদায় করতে পারেনি। অথচ আপনি বিএনপি-জামায়াতের হাতে কতো বড় অস্ত্র তুলে দিলেন। আপনি পদত্যাগ করবেন, প্লিজ। এটা নাশকতা। ভুল নয়।