Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিএনপির সাথে সংলাপে বসার বিষয়ে ভিন্ন কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির সাথে সংলাপে বসার বিষয়ে ভিন্ন কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের রাজনীতি নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন প্রধান দুই দলের নেতারাসহ অন্যান্য দলগুলোর নেতারাও। তবে আ.লীগ এবং বিএনপির নেতারা বিগত সময়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে পরস্পরের সমালোচনা করে যাচ্ছে। এ দিকে বিএনপি বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আ.লীগকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য আন্দোলনে জনগনকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। এদিকে
অনেকে বিএনপির সাথে আ.লীগকে সংলাপে বসার কথা বলছে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে অর্থ পাচারকারী, অ”স্ত্র চোরাকারবারী ও খু”/নি বলে কড়া সমালোচনা করে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয় নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন।

মানবাধিকারের কথা বলে খুনিদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বানে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তারা দুর্নীতিবাজ, সাজাপ্রাপ্ত এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, অর্থ পাচারকারী, অ”স্ত্র চোরাকারবারি ও গ্রে”/নেড হাম”লাকারী, আইভি রহমানের খু”/নি। জিয়াউর রহমান আমার বাবার খু”/নি। আর এদের সঙ্গে ডায়ালগ করতে হবে, আলোচনা করতে হবে? আবার মানবাধিকারের কথাও বলে- এটা কেমন ধরনের কথা সেটাই আমি জিজ্ঞাস করি।

শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী মহিলা লীগের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধান দুই দলের নির্বাচন নিয়ে আলোচনার আহ্বানের জবাবে শেখ হাসিনা এসব প্রশ্ন রাখেন।

সংগঠনের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা কৃক।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা পরপর তিনবার ক্ষমতায় এসেছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে এবং বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে।

সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে অনেকেই বলেন- ডায়ালগ করতে হবে। কার সাথে? ঐ বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা, যারা গ্রে”/নেড ছুড়ে আমাকে মে”রে ফেলার চেষ্টা করেছে, সেই খালেদা জিয়া বলেছিল- শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসা তো দূরের কথা বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় যাবে না?

তিনি বললেন, এ ধরনের অহংকার আল্লাহ পছন্দ করেন না। আর বাংলাদেশের মানুষ এটা মোটেও পছন্দ করে না। যে কারণে খালেদা জিয়ার কথা তার নিজের কাছে আটকে রয়েছে। তাদের সঙ্গে সংলাপ করতে হবে? আলোচনা করতে হবে?

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আছে। যাদের ইচ্ছা নির্বাচন করবে। আর যদি কারো নির্বাচন করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে তারা নির্বাচন নাও করতে পারে; তবে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করবে, ভোট দেবে। আর ভোট চুরি করলে তারা মেনে নেবে না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেন; বাংলাদেশের জনগণ তাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়েছে। তিন-তিনবার ক্ষমতায় আসতে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করেছিল; কিন্তু দেড় মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। ভোট চুরির অপরাধে ৩০ মার্চ গণআন্দোলনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন দল আ.লীগ এবং বিএনপির দেশ পরিচালনার নীতিতে ভিন্নতা চায় এই দেশের সুশীল সমাজ। তবে রাজনৈতিক বিষয়টি যেহেতু দলাদলি সেখানে এক দল ক্ষমতায় এলে অন্য দলকে চাপে রাখবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এ দেশের সাধারন মানুষেরা বিভিন্নভাবে অন্যায় অবিচারের মুখোমুখি হয়ে থাকে। এদিকে দ্রব্যমূল্য স্ফীতির কারণে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *