আজ অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনে আগ্রহী দলগুলোর আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এ পর্যন্ত ৮০ টির মত নিবন্ধনে আগ্রহী রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন পত্র জমা দিয়েছে। এই দলগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন গঠিত রাজনৈতিক দল গণধিক্কার পরিষদ। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে ইসিতে আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন দলটির নেতারা।
আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারলে অবশ্যই নিবন্ধন পাব। আমাদের নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত হলে তা হবে আমাদের প্রতি অন্যায়।
তিনি বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদে তারুণ্যের উত্থান, এই রাজনৈতিক দলের জন্ম। আমরা প্রতিবাদের মাধ্যমে আমাদের অধিকার আদায় করব।’ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভবিষ্যতে এদেশে আর ‘বিনা ভোটের’ এবং ‘ভোট ডাকাতির’ নির্বাচন হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
নিবন্ধন না পেলে নির্বাচনে যোগ দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত জোটের কথা ভাবছি না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন সুষ্ঠু রাজনীতির সংকট। নেতৃত্বের প্রতি মানুষের অবিশ্বাস রয়েছে। তাই নতুন নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে উঠছে। বর্তমান সরকারকে অপসারণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করব, রাজপথে থাকব। কিন্তু নির্বাচনকালীন বিষয়ে দলের এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে নতুন দলটির কোনো ‘উৎকণ্ঠা’ নেই উল্লেখ করে নুরুল হক নূর বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারই আমাদের আলোচনার মূল বিষয়। আমাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের চেয়ে নির্বাচনী সরকার গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় সরকারের অধীনে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, যেখানে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে কুকুর-বিলাই-ছাগল ছুটেছে। এমন ভোট ও ভোটের পরিবেশ আমরা চাই না।
নুরুল হক বলেন, ‘জনগণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। আমরা চাই উৎসবমুখর পরিবেশে জনসাধারণের চাওয়া মোতাবেক একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর এই কারনেই নির্বাচন এর সময় আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকার চাইছি। এই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল রাজপথে আন্দোলনে নামছে। আমরা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চাই না এবং নিশ্চিত করে বলছি যাবো না।