রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসমাবেশ চলাকালে নিহত শামীম মিয়া যুবদল কর্মী নন বলে জানিয়েছেন তার বাবা ইউসুফ মিয়া। শামীম মিয়া ডাক্তারের গাড়ির চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে শামীম যুবদলের নেতা বলে দাবি করছে বিএনপি।
সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে সংঘর্ষের সময় শামীম পুলিশ হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন।
এ সময় শামীম সড়কে পড়ে যান। এরপর পুলিশের ওপর হামলা করতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. রেজাউল হায়দার জানান, নিহত যুবকের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শামীমকে যুবদলের নেতা দাবি করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গণি চৌধুরী শনিবার বলেন, শামীম মোল্লার বাবার নাম ইউসুফ মোল্লা। তিনি মুগদা থানা যুবদলের ৭নং ওয়ার্ডের ১নং ইউনিটের সভাপতি।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দাবিতে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে গণসমাবেশের অনুমতি চায় বিএনপি।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি থাকলেও নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে আসা দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।