কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১২ দলীয় জোটের নেতা হিসেবে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে ছিলেন। এই সরকারের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারাই হবে জাতীয় বিশ্বাসঘাতক- এই ভাষণ দেওয়ার কয়েকদিন পর তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে তার দলের কোনো অবস্থান নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
2018 সালে তিনি চট্টগ্রাম-৫ আসনে প্রার্থী ছিলেন। এবারও তিনি এই দুই আসনের একটিতে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই দুই আসনে জাপা ও আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় একটি সংগঠনের নির্দেশে তাকে কক্সবাজার-১ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। নিজ এলাকায় প্রার্থী না হয়ে অন্য এলাকায় কেন প্রার্থী হলেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই এলাকা আমার মহাসচিবের বাড়ি। তাই আমি এই এলাকাটি সুবিধাজনক বলে মনে করেছি।
এই তার অবস্থা! এ অবস্থায় তাকে উদ্ধারে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। ভোটে জেতার কৌশল অবলম্বন করেছে দলটি।
প্রথমত, জেনারেল ইব্রাহিমকে জয়ী করতে ওই আসনের বর্তমান এমপি জাফর আহমেদকে মনোনয়ন দেয়নি আ.লীগ।
দেনাদারকে দেওয়া হয়। যথারীতি তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ তুলে বর্তমান আ.লীগের সাংসদকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। তা সত্ত্বেও ইব্রাহিম ভয়মুক্ত ছিলেন না। তিনি ওই আসনে বহিরাগত। তার পাঁচজন কর্মচারীও নেই। অবশেষে কেন্দ্রের নির্দেশে মাঠে নামে জেলা আ-লীগ। গত বছরের প্রার্থীর পক্ষে দাঁড়ানো যে কেউ ইতিমধ্যে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইব্রাহিমকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
গত শনিবার বিকেলে চকরিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এ সমর্থনের ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ ইব্রাহিম প্রহরীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমরা জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সকল নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাকে বিজয়ী করব।
জেনারেল ইব্রাহিম বলেন, যেহেতু এ আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। তাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ভোট তিনিই পাবেন। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও দলীয় নেতাদের ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ এজেন্সির লোকজনও মাঠে সক্রিয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপি জাফর আলমের ট্রাক মার্কার পক্ষে মাঠে নেমে আসা জনপ্রতিনিধিদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।