বিএনপি’র ৭ জন সংসদ সদস্য সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম পত্র পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। জানা গেছে গতকাল অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর সকালের দিকে পাঁচজন বিএনপির সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর তাদের সংসদীয় আসন গুলো শূন্য হয়ে গেল। ইতিমধ্যে ঐ সকল আসনে নির্বাচনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানালেন নির্বাচন কমিশনার।
এদিকে সাংসদদের তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন স্পিকার। তিনি তাদের আসন খালি ঘোষণা করেন।
স্পিকার পরে সাংবাদিকদের বলেন, “তারা আমার কাছে সাতজনের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পাঁচজন শারীরিকভাবে উপস্থিত ছিলেন, সেগুলো গৃহীত হয়েছে। সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই আসনগুলো খালি হয়েছে। আমি আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করব বাকি দুটির এবং একটি সিদ্ধান্ত নিতে।
এর মধ্যে সংসদ সচিবালয় সাত্তার সাহেবের স্বাক্ষর যাচাই করে, এ বিষয়ে কথা বলবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তা গ্রহণ করা হবে। তবে হারুনের আবেদন ইমেইলে পাঠানোয় গ্রহণ করা হবে না, তাকে পরে এসে জমা দিতে হবে’- যোগ করে বলেন শিরীন শারমিন।
আজ স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনে মোঃ মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনে জিএম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান ও সংরক্ষিত আসনে রুমিন ফারহানা।
হারুন অর রশিদ বিদেশে থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি স্বশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেননি। এই সংসদের মেয়াদ এক বছরের বেশি বাকি।
পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানিয়ে স্পিকার বলেন, আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশের পর তাদের কাছে পাঠানো হবে। নির্বাচন কমিশনেও পাঠানো হবে। আসনটি শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শূন্যপদ এখন গেজেট করা হবে, পরে যখন সংসদ অধিবেশন হবে, সেখানেও তা জানানো হবে।
এর আগেও একবার বিএনপির সংসদ সদস্যরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিটে সংসদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে সে সময় তারা পদত্যাগ করেননি। গত ১০ ডিসেম্বর শনিবার বিএনপির সংসদ সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর গতকাল অর্থাৎ ১১ ই ডিসেম্বর তারা সশরীরে হাজির হয়ে স্পিকারের নিকট পদত্যাগ পত্র জমা দেন।