বিএনপি’র দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রে”প্তারের পর কয়েক ধাপে তাদের জামিন আবেদন করলেও তারা জামিন পাননি। তবে গতকাল মঙ্গলবার তাদের জামিন দেয়া হলেও পরবর্তীতে আদালত তাদের জামিন স্থগিত করে দেয়, এ বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তাদের জামিন বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক খেলা চলছে, এমন কথা বলেছেন বিএনপিপন্থী অনেক আইনজীবী। তবে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জামিন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের কাজে আইন মন্ত্রণালয় তো নয়-ই, অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ও হস্তক্ষেপ করছে না। আদালত যদি মনে করেন তাহলে জামিন দেবেন। আদালত যদি মনে করেন জামিন দেওয়া যাবে না, তাহলে জামিন দেননি।
বুধবার ঢাকার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য এক কর্মশালার উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘অনেক সময় এমন হয় যে নিম্ন আদালত জামিন দেয় না কিন্তু উচ্চ আদালত জামিন দেয়। এমনও হয় যে নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছে, কিন্তু উচ্চ আদালত তা স্থগিত করেছে। বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা কোনো নতুন কিছু নয়।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তারা হয়তো জাতীয় পার্টি-বিএনপির কর্মকাণ্ড দেখেননি বা দেখে থাকলেও বলতে চান না।’
এদিকে আবদুল হামিদ টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সংবিধান অনুযায়ী তিনি তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সংবিধান সংশোধন করে তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি পদে বহাল রাখার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
আনিসুল হক আরো বলেন, ”সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি (আবদুল হামিদ) হিসেবে যিনি রয়েছেন, তিনি পরপর দু’বার দায়িত্ব পালন করেছেন। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী তিনি আর তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি হিসেবে থাকতে পারবেন না। তাই নতুন কোন একজনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হবে।