ওবায়দুল কাদের হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় সেতু ও সড়কপরিবহণ মন্ত্রী। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন বিএনপি রাজনৈতিক দর্শনই ছিল লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতিতে কখনো আস্থা রাখে না। তাদের রাজনৈতিক দর্শন ছিল বুটলেগিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা হাওয়া ভবন, খোয়াড় ভবন খুলে তাদের শাসনামলে দুর্নীতি ও লুটপাটে নিমজ্জিত ছিল, দেশের মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়িত মেগা প্রকল্পগুলো তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেবে এটাই স্বাভাবিক।
এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা এমপি শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পাহাড়ের মতো বাধা ও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। শুধু মেগা প্রকল্পই বাস্তবায়ন হচ্ছে না, আজ দেশের ২৯ শতাংশ মানুষ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো না কোনো ভাতার আওতাভুক্ত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজকের পরিবর্তনশীল বাংলাদেশের সফল রূপকার। তার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি আজ বিশ্বসভায় প্রশংসিত হয়।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাদের মনে রাখতে হবে, পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তাদের শাসনামলে দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনৈতিক ভাগ্য অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাদের শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কখনোই ৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুশাসনের কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আমেরিকার বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘নিউজ ইউকে’ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করলে আমাদের দেশের একদল হতাশাবাদী ব্যর্থ রাজনীতিবিদ হাহাকার করে উঠেন! তাদের মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে অনেক উন্নত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সংকট একটি বৈশ্বিক সংকট। বাংলাদেশ যাতে এই সংকটে না পড়ে সেজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার সামনের সংকট মোকাবেলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকলে কোনো সংকটই মোকাবিলা করা কঠিন নয়। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, আসুন আমরা সকলে দায়িত্বশীল হই: রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যবহারে আমরা সবাই সার্থক ও মিতব্যয়ী হই।
প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের তার সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি তার দায়িত্বের প্রতি খুবই যত্নশীল এবং সতর্ক। ওবায়দুল কাদের তার দায়িত্ব পালন করা থেকে এক বিন্দুও পিছু হটেন না।