‘বিএনপির ভাইয়েরা যদি নৌকা মার্কায় ভোট দিতে ইচ্ছা না করেন, তাহলে কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। তার কারণ আমরা আওয়ামী লীগের দুইটি প্রার্থী। আমরাই ভোট দিয়ে যাকে মনোনীত করবো তিনিই এমপি হবেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে প্রতীক দিয়েছেন তিনিই যদি এমপি হন তাহলে আমি অনেক কাজ করতে পারবো।’ কথাগুলো বলেছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মিয়া।
গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) হাট ফতেপুর উত্তরপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তার বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার বক্তব্যের পর থেকে এলাকায় বিএনপি ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, খালি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে এসেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ, আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী (মীর এনায়েত হোসেন মন্টু) দাঁড়িয়েছেন তার অবস্থান জানেন, তিনি অসুস্থ মানুষ। তিনি হঠাৎ করে উদ্যোগ নিয়েছেন।’
জানা যায়, আব্দুর রউফ মিয়া ২০১৭ সালে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ওই বছরের ২০ আগস্ট একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রয়াত এমপি মো. একাব্বর হোসেনের হাতে ফুলের নৌকা তুলে দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরে ২০২১ সালে ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান।
এর আগে তিনি দীর্ঘদিন ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার শাসনামলে তিনি সরকার বিরোধী বিএনপি অগ্নিসংযোগ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে লোকজন আছে। আমি তো এমপির পক্ষে (আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ) নির্বাচন করতেছি। আর যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে (উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু) নির্বাচন করছে তারা আমার বক্তব্য কেটে কেটে ছেড়ে দিয়েছে।’ তিনি আদালতে আছেন বলে মোবাইল ফোনের কল কেটে দেন।
ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ লিটন বলেন, নির্বাচনে যে কোনো ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারেন। বিএনপি ভোটকেন্দ্রে না আসা নিয়ে সভাপতির মন্তব্য করা ঠিক হয়নি।