দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কিছু দলের তৎপরতা বেড়েছে। বড় দলগুলোর নেতাদের মধ্যে বিভাজন করে নির্বাচনে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নির্বাচনে অংশ নিতে নানা প্রলোভন দিয়েও সরকার সফল হয়নি বলে মনে করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। বিএনপির সাবেক নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী করার চেষ্টা চলছে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভোট দিতে ফোন করা হচ্ছে।
বিএনপিপন্থী কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতাকেও ভয়ভীতি ও প্রলুব্ধ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য নেতা নির্বাচনে যাওয়ার আগ্রহ দেখাননি।
নেতাদের মতে, ছোট দলগুলোকেও নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছে সরকার। এখন পর্যন্ত কয়েকটি দল ছাড়া বেশির ভাগ দলই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যোগদানের বিষয়ে সাড়া দেয়নি। তারা নিঃসন্দেহে এটিকে প্রাথমিক বিজয় হিসেবে দেখছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, এবারের নির্বাচনে কেউ আগ্রহী নয়। তা সত্ত্বেও জবরদস্তি ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে ছোট দলগুলোকে নির্বাচনের মাঠে টেনে আনার চেষ্টা চলছে। তারপরও সরকার সফল হয়নি।
তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে সব সময় কিছু অসৎ লোক থাকে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় যারা প্রতারণা করেছিল তারা সফল হয়নি। সাম্প্রতিক অতীতের এই শিক্ষা সবার মনে রাখা উচিত। দলের কোনো নেতাকে তারা ভোট দিতে পারবে না বলেও মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অভিযোগ করেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরকে সরকার সৃষ্ট কিংস পার্টিতে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, শাহজাহান ওমরের পরিবারের সদস্যরা তাকে বলেছেন, সরকার শাহজাহানকে কিংস পার্টিতে যোগ দিতে নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু শাহজাহান ওমর কিংস পার্টি নামে পরিচিত এসব কুখ্যাত দলে যোগ দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।