দীর্ঘ দিন ধরে জোটবদ্ধ ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও বিভিন্ন মত বিরোধের কারনে বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছে জামাত। তবে দলটির শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধের কারনে ফাঁ/সি হওয়ায় দলটি বিপদে পড়ে যায় রাজনীতিতে। নতুন করে তারা কোনো দলের সাথে জড়িত হবে কিনা এখনো তাদের সিদ্ধান্ত জানায়নি। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে হটাতে আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ বিএনপি আন্দোলন প্রতিরোধ করতে মাঠে নামার ঘোষনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বিএনপির বড় উইকেট পড়ে গেছে, জামায়াতে ইসলাম বলেছে— বিএনপির সঙ্গে তারা আর নেই। বিএনপি নৈরাজ্য করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, নৈরাজ্য করলে ছাত্রলীগ বসে থাকবে না।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা আবদুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জিয়াউর রহমান বিচারপতি সায়েমের বুকে ব/ন্দুক তাক করে ক্ষমতায় আসেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি দেশি-বিদেশি যড়যন্ত্রে কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছে। ২০০১ সালে ভারতকে এদেশের গ্যাস রপ্তানি করবে বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, র্যাব বিএনপি তৈরি করেছে। ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ বাবুকে প্রথমবারের মতো গু/ম করে বিএনপি। বিএনপি চট্টগ্রামে নিজেদের নেতা জামালকেও গু/ম করে, ৪২ দিনের মাথায় তার লা/শ পাওয়া যায়।
আওয়ামী লীগের অন্যতম এই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, গু/মের নামে অনেকেই নাটক করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট ঢাকায় এলে মির্জা ফখরুল ভেবেছিলেন তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেন। তারা যখন বলে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনো সংকট নেই, তখন বিএনপির মুখ চুপসে গেছে।
তিনি বলেন, ভারতে নরেন্দ্র মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন মেকাপ করে তৈরি হয়ে গেলেন যেন এবার তাকে (খালেদা জিয়া) প্রধানমন্ত্রী বানাবে। তারপর ভাবলো, হিলারি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাকে ক্ষমতায় বসাবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি ভাইয়ের সামনে বোনকে ধ/’র্ষণ করেছে, পিতার সামনে কন্যাকে ধ/’র্ষণ করেছে।। কিন্তু আওয়ামী লীগ এসব কিছুই করেনি। শেখ হাসিনা সবাইকে নিরাপদে রেখেছেন।
বিএনপি ও তারেক জিয়া ক্ষমতা থেকে কিবরিয়া সাহেবকে হ/ত্যা করেছে, আহসানুল্লাহ মাস্টারকে হ/ত্যা করেছে, নাটোরে মমতাজ উদ্দিনকে হ/ত্যা করেছে, বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, বিএনপি এদেশে আর কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না্ কারন এদেশের মানুষ তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আওয়ামীলীগ এদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে তার ধারাবাহিকতায় এদেশে আবারও ক্ষমতায় দলটি।