আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বসে বসে স্বপ্ন দেখছে, নিষেধাজ্ঞার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ভিসা নীতি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিএনপি সড়ক অবরোধ করে, প্র/বেশপথে অবস্থান করেছে। এ জন্য ভিসা নীতি কার্যকর হওয়া দরকার, নিষেধাজ্ঞা আসা প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিএনপিকে নিষিদ্ধ করছে না কেন? আমরা সেই প্রশ্ন করতে চাই।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। একই দিন আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন এক দফা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে রাজধানীতে কালো পতাকা ও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। তাদের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।
ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওই স্ট্যান্ডে ফলের জুস খেয়ে আমানুল্লাহ আমান ভেঙে পড়েছেন। গয়েশ্বর সেই অবস্থানের ফল… কিশোরগঞ্জ থেকে কোরাল মাছ নিয়ে এসেছে পুলিশ অফিসার হারুন, কোরাল মাছের ঝোল খেয়ে গয়েশ্বর দিশেহারা। আন্দোলন করতে করতে বারোটা বেজে গেছে। যারা বাড়তি জামাকাপড় নিয়ে এসেছে তারাও ধানক্ষেত দিয়ে এদিক দিয়ে ওদিক দিয়ে পালিয়েছে। এই মানুষগুলো কি আর ঢাকায় আসবে?
বিএনপির কালো পতাকা মিছিল ও গণসমাবেশের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা দেখে ভাবলাম আবার কে মারা গেল? তাহলে কালো পতাকা কেন? কালো পতাকা মিছিল কেন? কেউ মা/রা গেছে? কালো পতাকা মিছিল মানে শোক মিছিল। বিএনপি শোক করছে কেন? আন্দোলন করতে করতে বারোটা বেজে গেছে। এখন নেতারা নিজেদের অজান্তেই মিছিল করছেন। আমরা আগস্টে কালো পতাকা ব্যবহার করি। আন্দোলনের প/তাকা হচ্ছে লাল।
রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ২রা সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের জনসভা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেখানে জনসমাগম নেই কীভাবে মিছিল হবে, গণসমাবেশ হবে? মিছিল দেখবেন? মিছিল দেখাব। একদিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, অন্যদিকে সবুজবাগ… এদিকে মিরপুর। আওয়ামী লীগের মিছিল মানেই পুরো শহর প্লাবিত। দেখবেন ২রা (২শে সেপ্টেম্বর), দেখবেন ১লা তারুণ্যের সমাবেশ। সেদিন শোকের কালো পতাকা নয় লাখো তরুণের হাতে বিজয়ের পতাকা দেখাবো।
রো/হিঙ্গারা আমাদের জন্য বোঝা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ আগে ১২ ডলার দিত, কিন্তু এখন সাহায্য কমিয়ে ৮ ডলার করেছে। এটা দিয়ে কিভাবে চলবে? কেউ সাহায্য করে না, শুধু সুন্দর কথা বলে, রো/হিঙ্গাদের জন্য কাঁদে। তারা অন্য দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের তাদের দেশে স্থান দিতে পারে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের নয়।
রো/হিঙ্গাদের কারণে দেশের প্রধান সমুদ্র সৈকত ও জীবন বিপন্ন, অর্থনীতি ও পর্যটন ধ্বং/স হচ্ছে দাবি করে তিনি রো/হিঙ্গাদের নিয়ে সুন্দর কথা উচ্চারণ করে আমাদের নেত্রীর প্রশংসা করেন। কিন্তু বাস্তবে কেউ সাহায্য করতে আসে না।
দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশে আর কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই যে আমাদের পরাজিত করতে পারবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে।
বিএনপি আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, আন্দোলনের নামে দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে জনগণকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। এদেশের ভাগ্য আমরা বিএনপির মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে ছেড়ে দিতে পারি না।